ডাকঘর |
|
জেরক্স বন্ধ |
আমি কৃষ্ণনগর কালেক্টরি মোড়ে ছোট্ট একটা দোকান করে দীর্ঘ দিন ধরে জীবিকা নির্বাহ করছি। গত ১৩ মার্চ হঠাৎ একটা পুলিশের গাড়ি এসে দোকানের সামনে দাঁড়াল। গাড়ি থেকে কয়েকজন পুলিশ কর্মী নেমে এসে বললেন, উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষা চলাকালীন জেরক্স বন্ধ রাখতে হবে। এটা নাকি সরকারি নির্দেশ। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসবে আমরা সরকারের ওই নির্দেশ মানতে বাধ্য। কিন্তু প্রশ্ন, পরীক্ষা চলাকালীন ব্যবসা বন্ধ রাখার দরুন যে আর্থিক ক্ষতি হবে তা কি সরকার পূরণ করবেন? পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের অসৎ পথ অবলম্বন আটকানোর জন্য স্কুল-কলেজে পাহারা না বাড়িয়ে ব্যবসায়ীদের উপর অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা কেন? এ যেন ‘সব ব্যাটাকে ছেড়ে দিয়ে বেঁড়ে ব্যাটকে ধর’।
নিরঞ্জন পাল, কৃষ্ণনগর।
|
বিদ্যুৎ সংকট |
গ্রীষ্মের চরম গরম পার আগেই খড়গ্রাম এলাকায় ব্যাপক লোডশেডিং শুরু হয়ে গিয়েছে। মাত্রাহীন লোডশেডিং-এর ফলে এই গরমে খড়গ্রাম ব্লকের কয়েক লক্ষ মানুষের দিশাহারা অবস্থা। যে সামান্য সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে সেই বিদ্যুতও কাজে লাগছে না লো-ভোল্টেজের কারণে। প্রতি বছর বানভাসি হয় দ্বারকা ও ব্রহ্মাণী নদী ঘেরা খড়গ্রাম ব্লকের মাঠঘাট। ফলে গ্রীষ্মকালীন বোরোধানের চাষই ওই এলাকার প্রধান ফসল। বোরোধানের চাষের সাফল্য কিন্তু পুরোপুরি বিদ্যুৎ চালিত পাম্প নির্ভর জলসেচের উপর। বেহাল বিদ্যুতের জন্য জলসেচের অভাবে এ বার ফুটিফাটা জমিতেই বোরোধান শুকিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না করা হলে খড়গ্রামের সমূহ বিপদ।
সুব্রত পাল, খড়গ্রাম।
|
বালিকা বিদ্যালয় |
শিক্ষা, সংস্কৃতি, সচেতনতা-সহ সব দিক থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার পিছিয়ে পড়া ব্লকের নাম হরিহরপাড়া। ওই ব্লকে আজও কিন্তু একটিও বালিকা উচ্চ-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফলে কো-এড বিদ্যালয়ে না যেতে চাওয়া মেয়েরা পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওই বঞ্চনা থেকে পিছিয়ে পড়া ব্লকের মেয়েদের রেহাই দিতে হরিহরপাড়ায় অন্তত একটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক। সংশ্লিষ্ট সবার কাছে সেই অনুরোধ জানাই।
পাভেল আমান, হরিহরপাড়া।
|
বেহাল রাস্তা |
রঘুনাথগঞ্জ শহরের হরিদাসনগরের ভিতরে চৌরাস্তার মোড় থেকে শুরু করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে যাওয়ার রাস্তাটি অনেক দিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছোট গাড়ি থেকে শুরু করে পুলিশের ভ্যান এমনকি আদালতের ভিতরে সংস্কারের কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া ইট, বালি ও পাথর বোঝাই লরির চাপে রাস্তাটি বসে গিয়েছে। ওই রাস্তাটির অনেক এলাকা বসে গিয়ে গর্তও হয়ে গিয়েছে। তার ফলে বর্ষায় জল জমে পুকুরের চেহারা নেয়। গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করলে আসন্ন বর্ষায় বিপদ আরও বাড়বে।
শান্তনু রায়, রঘুনাথগঞ্জ।
|
ঘাসের বাঁধ |
হুগলির মুণ্ডেশ্বরী নদীবাঁধের ভাঙন রুখতে ‘ভেটিভার’ ঘাস রোপনের সফলতা প্রমানিত। উল্লেখ্য ওই ঘাস সহজে নষ্ট হয় না। সেই সঙ্গে খরচও অনেক কম। ৫ লক্ষ টাকায় বোল্ডার দিয়ে যে দৈর্ঘের বাঁধ নির্মাণ করা যাবে, সেই দৈর্ঘের বাঁধ ‘ভেটিভার’ ঘাস দিয়ে বাঁধতে খরচ মাত্র এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা। ফলে বন্যাপ্রবণ কান্দি মহকুমার পঞ্চায়েত গুলি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে ‘ভেটিভার’ ঘাস দিয়ে নদীবাঁধ নির্মাণ করতেই পারেন। তাতে কম খরচে নদীবাঁধ গুলি সুরক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের শ্রমদিবসও বাড়বে।
সুভাষ ঘোষ হাজরা, পাঁচথুপি।
|
ওজনে ফাঁকি |
ট্রেনের কামরার ভিতরে ও স্টেশন চত্বরে ফেরিওয়ালা, বা দোকানদারেরা ওজনে ক্রেতাদের ব্যাপক হারে ঠকায়। ওই ব্যবসায়ীদের বাটখারার তলার দিকটায় দেখা যাবে সেখানের গর্ত করা স্থান থেকে অনেকটা ওজন তুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে ক্রেতারা এক কেজি ওজনের ফল বা, গজা জাতীয় মিষ্টান্ন কিনলে ওজনে দেড়শো গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম কম পাবেন। ওই সব ওজন জালিয়াতদের বিরুদ্ধে সরকারি পর্যায়ে কোনও অভিযান হয় না কেন?
নীলাংশু ধর, বাদকুল্লা।
|
চিঠি পাঠানোর ঠিকানা
ডাকঘর
আনন্দবাজার পত্রিকা
কাশিমবাজার, বহরমপুর
মুর্শিদাবাদ-৭৪২১০২, ৭৪২১০২ |
|
|