খেলা
জনসংযোগে ফুটবল
ড়াই চলছে বালি থানার সঙ্গে শিবপুর থানার। হাওড়া রিজার্ভ পুলিশ মাঠে ফুটবলের এ লড়াই হল এ বারের কমিশনার্স কাপের ফাইনালে। আয়োজন করেছিল হাওড়া সিটি পুলিশ।
হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার অজেয় রানাডে জানান, এই প্রতিযোগিতার এ বার দ্বিতীয় বর্ষ। সিটি পুলিশের আটটি থানার অন্তর্ভুক্ত ৬৪টি ক্লাব এতে অংশ নেয়। এক মাসের বেশি নক আউট পদ্ধতিতে খেলা চলে। ফাইনালে, একেবারে শেষের দিকে সুদীপ্ত পালের গোলে শিবপুর থানার কেরি প্যাকার স্পোর্টস ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বালি থানার বালি অ্যাথলেটিক ক্লাব।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও শিবপুর কেরি প্যাকার স্পোর্টস ক্লাবের টিম ম্যানেজার গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওরা যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ ছাড়া আমার টিমের দু’জন ভাল ফুটবলার সেমিফাইনালে চোট পাওয়ায় ফাইনালে খেলতে পারেননি।”
রানার্স দলের অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান প্রতিযোগিতার সেরা গোলকিপার হন। ট্রফি নিয়ে রিজওয়ান বলেন, “ওরা অনেক সঙ্ঘবদ্ধ দল। তবে প্রথম বছর কমিশনার্স কাপে অংশগ্রহণ করেই ফাইনালে পৌঁছলাম। এটাই বড় পাওয়া।”
চ্যাম্পিয়ন বালি থানার, বালি অ্যাথলেটিক দলের কোচ সুব্রত শেঠের কথায়: “এই দলটি দশ বছরেরও বেশি সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও আমার কাছে অনুশীলন করে। ফলে বোঝাপড়া ভাল।” ন’টি গোল করে প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান শচীন সিংহ। শচীন এখন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জুনিয়র টিমের নিয়মিত ফুটবলার।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “এ ধরনের প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য পুলিশ যে আমজনতার বন্ধু এ বার্তা পৌঁছে দেওয়া। ভবিষ্যতে একই ভাবে হকি ও ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
দর্শক হিসেবে ছিলেন সৈয়দ নইমুদ্দিন, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর দাস, সমর ভট্টাচার্য, রঘু নন্দীর মতো প্রাক্তন তারকারা। খেলা শেষে ফুটবলারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাংসদ অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায় প্রমুখ।

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.