কাজের চাপ থেকে ‘অবসাদ’ তাই বিক্ষোভ স্বাস্থ্যকর্মীদের
ক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুর প্রশাসনিক তদন্ত চেয়ে মঙ্গলবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এএনএমআর এমপ্লয়িজ সোসাইটি’। সংগঠনের বক্তব্য, অতিরিক্ত কাজের চাপেই অবসন্ন হয়ে আত্মঘাতী হন কেশপুরের ওই মহিলা স্বাস্থ্যকমী। সংগঠনের মতে, এএনএমদের উপর বাড়তি কাজের বোঝা চাপানো হচ্ছে। ফলে অনেকেই অবসাদে ভুগছেন। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সোসাইটির জেলা সম্পাদিকা পুতুল দাস, জেলা সভানেত্রী মঞ্জু পাত্র, রেখা সাহু প্রমুখ।
রেখাদেবীর কথায়, “কাজ করতে গিয়ে আমরা নানা সমস্যায় পড়ি। নিয়মিত ছুটি মেলে না। কাজের চাপও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দাবি নিয়ে আমরা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককের ডেপুটেশন দিয়েছি। আশা করব, দাবিগুলো খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে স্মারকলিপি। —নিজস্ব চিত্র।
জেলার বিভিন্ন গ্রামে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। এএনএমরা মূলত এই সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই কর্মরত। এঁরা এলাকার মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখেন। তবে এখন এঁদের আরও কিছু প্রকল্পের কাজে যুক্ত করা হয়েছে। গত শুক্রবার এক স্বাস্থ্যকর্মীর অপমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কেশপুরের আনন্দপুরে। রিনা ঘোষ নামে ওই স্বাস্থ্যকর্মী কেশপুর ব্লকের শ্যামচাঁদপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করতেন। আনন্দপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এই বাড়ি থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা। অবসাদেই তিনি আত্মঘাতী হন বলে মনে করছে পুলিশ। এ ঘটনারই প্রশাসনিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে সোসাইটি। তাদের বক্তব্য, কী ভাবে ওই স্বাস্থ্য কর্মীর এ ভাবে মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। প্রশাসনিক তদন্ত হলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। রেখাদেবীর কথায়, “ওই সহকর্মীর মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা জরুরি।”
কাজের চাপ বাড়ায় এবং সর্বত্র কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় রিনাদেবীর মতো অনেকেই মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি সোসাইটির। স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.