নয়াদিল্লির ঘটনার পরেই বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় সিপিএমের দলীয় অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সিপিএমের তালড্যাংরা জোনাল কার্যালয়ের দরজা ভেঙে সশস্ত্র তৃণমূল কর্মীরা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ভিতরে থাকা চার সিপিএম নেতা-কর্মী দোতলায় উঠে দরজা আটকে থাকেন। পুরুলিয়া শহরে সিপিএমের জেলা কার্যালয়েও তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল থেকে হামলা চালানো হয় বলে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপ অভিযোগ করেছেন। |
সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্রের খাস তালুক তালড্যাংরায় এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় হামলা হয়। তখন পার্টি অফিসের ভিতরে চার জন জোনাল ও লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁদের এক জন তালড্যাংরা লোকাল কমিটির সদস্য অর্ধেন্দু বিশ্বাসের অভিযোগ, “হঠাৎ বাইরে হইচই শুরু হয়। দেখি তৃণমূলের লোকজন টাঙ্গি, রড, লাঠি নিয়ে চড়াও হয়েছে। ওরা পার্টি অফিসের সদর দরজা ভেঙে দেয়। আতঙ্কে আমরা দোতলায় উঠে দরজা আটকে দিই। জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র ও জোনাল সম্পাদক সুনীল হাঁসদাকে টেলিফোন করে জানাই। ওরা নীচের তলায় ভাঙচুর চালাচ্ছিল। মিনিট কুড়ি পরে পুলিশ আসতে ওরা ভাঙচুর বন্ধ করে। কিন্তু আমাদের ঘেরাও করে রাখে।” রাত সাড়ে আটটায় পুলিশ ওই চার জনকে উদ্ধার করে। জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “নয়াদিল্লির ঘটনার পরেই সব থানাকে সতর্ক করা হয়। তালড্যাংরায় পুলিশ কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” অমিয়বাবু বলেন, “দলীয় ভাবে আমরা নয়াদিল্লির ঘটনার বিরোধিতা করেছি। তারপরেও সশস্ত্র তৃণমূল কর্মী আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালাল।” তৃণমূলের জেলা কো চেয়ারম্যান অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, “ওই ঘটনা জনরোষ।”
পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় সিপিএমের জেলা অফিসের নীচের তলার একটি ঘরে তৃণমূলের কর্মীরা ঢুকে চেয়ার-টেবিল উল্টে দেয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদকের অভিযোগ, “মিছিল থেকে কিছু তৃণমূল কর্মী আমাদের পাটি অফিসে ঢুকে আলো, আসবাবপত্র এবং একটি গাড়ির কাচ ভাঙে। এক কর্মীকেও মারধর করে।” তৃণমূলের জেলা সম্পাদক নব্যেন্দু মাহালির দাবি, “ওঁরাই লণ্ডভণ্ড করে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।”
বিকেল ছ’টা ছাতনা স্টেশনে ময়নাপুরগামী একটি লোকাল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। আধ ঘণ্টা পরে অবরোধ উঠে যায়। ট্রেন গন্তব্যে রওনা দেয়। |