ফের পুলিশকে পিটিয়ে বন্দি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এ বার ঘটনাস্থল বাসন্তী থানার ঢুঁড়ি বাজার। বছর খানেক আগে ক্যানিংয়ের জীবনতলায় পুলিশের উপরে চড়াও হয়ে বন্দিকে নিয়ে পালায় জনতা। সে বার অভিযোগের তির ছিল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমথর্কদের বিরুদ্ধে। এ বার অভিযোগ উঠেছে, আরএসপি-র লোকজন আক্রমণ করেছে পুলিশ কর্মীদের। জখম দুই কনস্টেবলকে ভর্তি করা হয়েছে বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আজ, মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ জনা পাঁচেক পুলিশ কর্মী ঢুঁড়ি বাজার এলাকায় আসেন। জাকির শেখ নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল তাঁদের সঙ্গে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের মামলাও চলছে। জাকিরকে এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তুলে ফেরার পথে বাজার এলাকায় পুলিশের গাড়ি ঘিরে ফেলে জনতা। পুলিশ কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিপেটা করা হয়। |
কয়েকশো উন্মত্ত জনতার সামনে কার্যত সে রকম কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি ওই পুলিশ কর্মীরা। জাকিরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে পালায় এলাকার লোকজন। জখম দুই কনস্টেবল দিলীপ মণ্ডল ও নিমাই পালকে নিয়ে কোনওক্রমে এলাকা ছাড়েন তাঁর সহকর্মীরা। পরে বাসন্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দু’জনকে।
অভিযোগ, আরএসপি-র কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতেই পুলিশকে পিটিয়ে বন্দি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। যদিও সে কথা মানতে চাননি দলের স্থানীয় নেতা মিন্টু ইসলাম। তাঁর বক্তব্য, “জাকির ও তাঁর পরিবারের এলাকায় সুনাম আছে। কী অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে, তা বার বার জানতে চাইলে সদুত্তর মেলেনি। এতে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ বাড়ে। তার পর তাঁরাই প্রতিবাদ করেন।” পুলিশের উপরে আক্রমণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় রুহুল কুদ্দুস ও আজিজুল সর্দারকে। তাঁদের দলীয় সমর্থক বলে উল্লেখ করে মিন্টুর দাবি, “মিথ্যা অভিযোগে ওই দু’জনকে ধরেছে পুলিশ।” |