দিল্লিতে যোজনা কমিশনের কার্যালয়ের সামনে এসএফআই সমর্থকদের হাতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের হেনস্থার অভিযোগে দুই জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় শাসক দল। মঙ্গলবার বারবেলার ওই বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘিরে বেশ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। বিরোধী দল সিপিএমের কয়েকটি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ দিন সন্ধ্যায় ফুলিয়ায় ধিক্কার মিছিল করে তৃণমূল। ওই মিছিলকারীরা সিপিএমের ফুলিয়া লোকাল কমিটির কার্যালয় ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সিপিএমের শান্তিপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “এ ছাড়াও বেলঘরিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলিয়াপাড়া শাখা কার্যালয়, নবলার তালতলায় শাখা কার্যালয় ও ফুলিয়া টাউনশিপ শাখা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল।” চাকদহের সিপি এমের নাগরিক ফ্রন্টের দফতরে তৃণমূল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ভাঙচুরের সমস্ত অভিযোগই অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “বিরোধী দলের অফিস ভাঙচুরে ঘটনার সঙ্গে দলীয় কোনও কর্মী জড়িত নন। সিপিএমের গোষ্ঠীবিবাদের ফলে ওই ভাঙচুর ঘটেছে।” কৃষ্ণনগরের কাছে কালিরহাটে প্রায় ৪৫ মিনিট ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় শাসক দল। মুর্শিদাবাদে অবশ্য ভাঙচুরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে এ দিন বিকালে রানিনগর, বহরমপুর, হরিহরপাড়া, ভগবানগোলা, জিয়াগঞ্জ, খড়গ্রাম, ফরাক্কা, ভরতপুর, সালার, বড়ঞার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে ধিক্কার মিছিল বেরোয়। |