টুকরো খবর |
হাতিমৃত্যুর তদন্তের প্রস্তাব সিআইডিকে
নিজস্ব প্রতিবেদন |
চোরাশিকারিদের হাতে বারবার বুনো হাতির মৃত্যুর ঘটনার পর মঙ্গলবার বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) রায়ডাক বনাঞ্চলের ৫ এবং ৬ নম্বর কম্পার্টমেন্ট ঘুরে দেখলেন প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) নবীনচন্দ্র বহুগুণা। বন দফতর সূত্রে খবর গত দু’মাসে ৫টি হাতিরমৃত্যুর তদন্তভার সিআইডিকে গ্রহণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত দু’মাসে মৃত পাঁচটি হাতির মধ্যে ৩টি হাতির দেহ উদ্ধার হয়েছে। রায়ডাক বনাঞ্চলের ওই দুটি এলাকা থেকে রবিবার দাঁত কাটা অবস্থায় পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কোথায় কী ভাবে হাতিটির দেহগুলি পাওয়া গিয়েছে খোঁজ নেন। চোরাশিকারির আসা যাওয়ার সম্ভাব্য পথগুলি নিয়ে খোঁজ নেন। পরে রাজাভাতখাওয়ায় বনকর্মী এবং পরিবেশপ্রেমী কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তিনি বলেন, “সুরক্ষার ব্যপারে আলোচনা চলছে। চোরাশিকার রোধে কী পদক্ষেপ করা যায় সে ব্যপারে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” চোরাশিকারির হাতে পরপর বুনো হাতির মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। তিনি বলেন, “দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।” চোরাশিকার মোকাবিলায় ‘ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম ব্যুরো’ তৈরির প্রস্তাব দেন প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর রবীন্দ্রপাল সাইনি। তদন্তে নেমে সোমবার কুমারগ্রাম খোয়ারডাঙা থেকে শিকারি সন্দেহে দু’জনকে ধরা হয়েছে। শামুকতলার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দু’জনের নাম আঞ্জুলুস বসুমাতা, নিরঞ্জন বসুমাতা। দু’ জনই প্রাক্তন বড়ো জঙ্গি। প্রথম জনের বাড়ি অসমে তেজপুর। দ্বিতীয় জনের বাড়ি কুমারগ্রামের ছোট দলদলি গ্রামে। ধৃতদের ৮ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
|
ট্রাম থেকে শব্দদূষণ ঠেকাতে সক্রিয় আদালত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতায় ট্রাম চলার শব্দের মাত্রা মানুষের সহনশীলতার মাত্রার থেকে বেশ বেশি। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরে এ বার বসত এলাকায় ট্রামের গতি নিয়ন্ত্রণ করা বা ট্রাম চলার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চাইল আদালত। শহরে দিনের পাশাপাশি রাতেও দূষণ ছড়াচ্ছে। ট্রামের শব্দ থেকেও দূষণ হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা এই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে জানতে চান, কে ট্রাম চালায়? পর্ষদের কৌঁসুলি জানান, ট্রাম চালায় রাজ্যের অধীনস্থ এক সংস্থা। সুভাষবাবু আদালতকে জানান, আগে ট্রামলাইন কংক্রিটের ছিল না। তাই এত শব্দ হত না। |
|
কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ট্রামলাইন কংক্রিট হওয়ার পর থেকে শব্দ বেড়ে গিয়েছে। ট্রামের শব্দদূষণ কমাতে সুভাষবাবু আদালতের কাছে দু’টি প্রস্তাব দেন। প্রথমত, যে সব বসতি এলাকা দিয়ে ট্রাম যায় সেখানে ট্রাম চলুক ভোর ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়ত, ট্রামের গতি বেঁধে দেওয়া হোক। সুভাষবাবুর এই দু’টি প্রস্তাব শুনে আদালত রাজ্য সরকারের কৌঁসুলিকে নির্দেশ দেয়, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে দূষণ কমাতে বসত এলাকায় ট্রামের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না এবং রাতে ট্রামের সময়সীমা পরিবর্তন করা যাবে কি না।
|
প্রাণী ধরার ফাঁদ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
পদস্থ বনকর্তার বাংলোর পিছনের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল বন্যপ্রাণী ধরার ফাঁদ। মঙ্গলবার সকালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তার বাংলোর পিছনে ঘটনাটি ঘটেছে। ফাঁদে পাওয়া যায় একটি জন্তুর দেহ। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বন কর্তারা। বন কর্মীরা জানিয়েছে, তার, বাঁশের তৈরি ওই ফাঁদ খরগোশ, হরিণ, বুনো শুয়োর ধরতে ব্যবহার হয়। পরিবেশ প্রেমীদের নালিশ, বক্সা চোরাশিকারির মুক্তাঞ্চলে পরিণত হচ্ছে। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) নবীন চন্দ্র বহুগুনা বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি উদ্বেগের। কী ভাবে জঙ্গলে চোরা শিকারিরা ফাঁদ লাগাচ্ছে তা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছি। নজরদারি বাড়ানোর জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” এ দিন সকালে দমনপুর এলাকার শ্মশানের পাশে কুকুর ফাঁদে আটকেছে খবর পায় আলিপুরদুয়ার জংশনের পিপ্লস ফর অ্যানিম্যাস বলে এক পশুপ্রেমী সংগঠন। দমনপুর জঙ্গল ও মাঝেরডাবরি চা বাগান লাগোয়া এলাকায় চোরা শিকারিদের তৈরী ফাঁদে একটি কুকুর আটকে গিয়েছিল। ফাঁদ কেটে কুকুরটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন। ফাঁদের বিষয় শুনে সংস্থার সদস্যরা এলাকায় তল্লাশিতে নামেন। ১৫টি ফাঁদ উদ্ধার করা হয়। পচা গন্ধ পেয়ে খুঁজতে ফাঁদে আটকে থাকা মরা জন্তুটির খোঁজ মেলে। আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত জানান, বক্সার জঙ্গল চোরাশিকারিদের মুক্তাঅঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
|
বাঘকে খুঁচিয়ে বিপত্তি, জখম ৯ জন গ্রামবাসী
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বন থেকে বেরিয়ে বাঘটি দিব্যি শুয়েছিল ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। কিন্তু মানুষের অপার কৌতুহল। বাঘটি বেঁচে রয়েছে কী না দেখার জন্য এক গ্রামবাসী তাকে বাঁশের খোঁচা দেয়। পলকের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি। থাবার আঘাতে চার গ্রামবাসীকে জখম করে বাঘটি গ্রামে ঢুকে পড়ে। গ্রামে বাঘের সামনে পড়ে আরও তিনজন জখম হন। বন দফতরে খবর যায়। নগাঁও বন বিভাগ, পবিতরা অভয়ারণ্য ও ওরাং জাতীয় উদ্যান থেকে ডিএফও এ আনন্দ, রেঞ্জার রবীন বৈশ্যর নেতৃত্বে বন কর্মীদের তিনটি দল বাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সে মিরিকামারি চরে চলে যায়। সেখানে আরও দু’জন বাঘটির থাবায় জখম হয়। অসমের মরিগাঁও জেলার বরালিমারি গ্রামের এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, বাঘটি ওরাং-এর জঙ্গল থেকে বের হয়ে আসে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মরিগাঁওয়েরই নাগাবান্ধা এলাকায় বাঘ হানা দেয়। সে বার এক শিশু-সহ তিন ব্যক্তিকে হত্যা করার পরে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। পবিতরা অভয়ারণ্যের ভিতরে কাঠ কাটতে ঢুকে গন্ডারের হাতে প্রাণ দেন এক ব্যক্তি।
|
হরিণ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
জখম অবস্থায় একটি হরিণকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। মঙ্গলবার বিকালে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার নাগর এলাকা থেকে বাসিন্দারা হরিণটিকে উদ্ধার করেন। পুলিশ হরিণটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেয়। এ দিন নাগর সংলগ্ন সাঁওতাল পাড়া এলাকায় আচমকা হরিণটিকে ছোটাছুটি করতে দেখেন বাসিন্দারা। তাঁরা হরিণটিকে তাড়া করলে দৌড়ে নাগর এলাকায় চলে যায়। সেখানেই বাসিন্দারা হরিণটিকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। হরিণটির মাথায়, শিঙে এবং ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। হরিণটিকে তাড়া করে আটক করার সময় সেটি পড়ে গিয়ে জখম হয়। রায়গঞ্জের বিভাগীয় বনাধিকারিক অপূর্ব সেন বলেন, “হরিণটি বিহারের ফতেপুর জঙ্গল থেকে পালিয়ে করণদিঘি থানা এলাকায় ঢুকে পড়ে বলে মনে হচ্ছে।”
|
গুঁতোয় জখম
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধূপগুড়ি |
পথ ভুলে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাইসনের গুঁতোয় এক বালক জখম হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি থানা এলাকার গদেয়ারকুঠি গ্রামে। এদিন সকালে গ্রাম লাগোয়া রামসাই জঙ্গলের ৪টি বাইসন পথ ভুল করে গ্রামে ঢুকে পড়ে। বাইসন দেখে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। দিশাহারা চারটি বাইসন ছোটাছুটি করতে থাকে। পালাতে গিয়ে একটি বাইসনের মুখে পড়ে দশ বছরের রতন রায়। বাইসনের শিং-এর গুঁতোয় তার পায়ে চোট লাগে। তার প্রাথমিক চিকিত্সা করানো হয়েছে। দুটি বাইসন কিছুক্ষণের মধ্যে জঙ্গলে ফিরে যায়। ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অপর দুটিকে জঙ্গলে ফেরায় বন কর্মীরা। |
|