পুকুরের জলে পড়ে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হল এক শিশু হাতির। এর কয়েক ঘণ্টা পরে এলাকারই এক রাখাল কিশোরকে পিষে দিল এক হাতি। মঙ্গলবার বড়জোড়া রেঞ্জে ওই দু’টি ঘটনা ঘটে। অন্য দিকে হুলা কর্মীদের নজর এড়িয়ে দু’দিন আগে পালিয়ে যাওয়া হাতিদের একটা বড় দলকে এ দিন মেজিয়ার হাঁসপাহাড়ির জঙ্গলে দেখা গিয়েছে।
বড়জোড়ার লক্ষ্মীনারায়ণপুরে এ দিন সকালে একটি পুকুরে প্রয় তিন বছরের শিশু হাতিটির দেহ ভেসে ওঠে। সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মুক্তাতোড় গ্রামে বেলা প্রায় ১১টায় গরু চরাতে যাওয়া মানিক লোহার(১৫) নামের এক কিশোরে একটি হাতি পিষে দেয়। তার বাবা মথুর লোহার বলেন, “বুনো হাতির দল যত্রতত্র ঘুরছে। বন কর্মীদের দেখা নেই। তাড়াবার চেষ্টাও নেই। বেঘোরে আমার একমাত্র ছেলেটার জীবন চলে গেল।” বাসিন্দারা জানান, “পাশেই সাহারজোড়ার জঙ্গল থেকে দলমার কয়েকটা হাতি দুপুর বেলায় ছেলেটাকে একা পেয়ে আছড়ে মারল। তার আগেই একটি শিশু হাতি মারা গিয়েছে। সেই শোকেই হাতিগুলো হামলা করল কী না জানি না। কিন্তু বন কর্মীরা একটু সতর্ক হয়ে ওই হাতিগুলিকে তাড়িয়ে দিলে ছেলেটা হয়ত মারা যেত না।” বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের ডিএফও এস কুলন ডেইভাল বলেন, “মৃত কিশোরের পরিবারকে কিছু আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
হুলা কর্মীদের তাড়া খেয়েই শিশু হাতিটি সোমবার গভীর রাতে ওই পুকুরে পড়ে গিয়েছিল বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বড়জ়োড়ার রেঞ্জ আধিকারিক পীযূষকান্তি ঘোষের দাবি, “হাতি তাড়ানো হচ্ছিল না। নিখোঁজ হাতিদের খোঁজ় চলছিল। সম্ভবত নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে পড়ে শিশু হাতিটি জলে পড়ে যায়।” ডিএফও জানান, ৪০টি হাতি মেজিয়ায় রয়েছে। ওদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। |