ফের বুনো দাঁতালের হামলায় এক চা শ্রমিক মারা গেলেন। রবিবার রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) ফাঁসখোয়া চা বাগানের ৩ নম্বর সেকশনে ঘটনাটি ঘটে। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম গণেশ মুণ্ডা (২৪)। বাড়ি রহিমাবাদ চা বাগানের খোয়ার লাইনে। নাগরাকাটার খয়েরকাটার আংরাভাসা-১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩টি ঘরের দেওয়াল ভেঙে দেয় বুনো হাতি। সোমবার স্কুলে মাঠে ক্লাস নিতে বাধ্য হন শিক্ষকরা। বনকর্মীরা জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ একটি দাঁতাল ফাঁসখোয়া জঙ্গল থেকে বের হয়ে বাগানের শ্রমিক মহল্লায় ঢোকে। চুনিয়া চা বাগান থেকে শ্রমিক লাইন দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন গণেশ মুণ্ডা। ঝোপের আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকা দাঁতালটি তাঁকে শুঁড় দিয়ে তুলে আছড়ে মারে। বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের হাতিপোতার রেঞ্জার দীপক চৌধুরী জানান, এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। মৃত চা শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ডায়না জঙ্গল থেকে নদী পার হয়ে এক দাঁতাল রবিবার রাতে খয়েরকাটায় ঢুকে পড়ে। ওই বুনোর হামলায় স্কুলটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মিড ডে মিলের চালের লোভেই হাতিটি স্কুলের দেওয়াল ভাঙে বলে বমকর্মীরা মনে করছেন।
|
খেদানো অভিযানের সময় হুলাকর্মীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গা ঢাকা দেওয়া প্রায় ১০০ হাতির দলের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বাঁকুড়া বন দফতর। শনিবার রাতো সোনামুখীর মানিকবাজার ও পাত্রসায়রের বীরসিংহ গ্রামের জঙ্গল থেকে পালিয়েছিল হাতির দলটি। রবিবার তাদের সন্ধান না মিললেও সোমবার ভোরে ওই দলের ২২টি হাতির দেখা মিলেছে বড়জোড়ার সাহারজোড়ার জঙ্গলে। দলের বাকি অংশ এই এলাকার জঙ্গলেই ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বনকর্মীরা। |