এই ‘পথ চলা’ কতটা লাভের হবে, তার উত্তর দেবে সময়। তবে আপাতত প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে প্রতিযোগিতা জয়ের আশাতেই বিএমডব্লিউ মোটোরাডের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করল টিভিএস মোটর। সেই বিএমডব্লিউ, যার মোটরবাইকে সওয়ার হয়ে সপ্তপদী সিনেমার কালজয়ী গানের শু্যটিং সেরেছিলেন উত্তম-সুচিত্রা জুটি।
তবে জার্মান সংস্থাটির সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে এত হইচই হলেও পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের প্রকল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সোমবার কোনও কথা বলেনি টিভিএস। উলুবেড়িয়ায় মহাভারত মোটরসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকল্প গড়ার বিষয়ে তারা কী ভাবছে, সে প্রশ্ন করা হলেও উত্তর এড়িয়ে গিয়েছে তারা।
প্রায় এক যুগ আগে জাপানি সংস্থা সুজুকি-র সঙ্গে গাঁটছড়া ভেঙে একাই মোটরসাইকেল তৈরির পথে পা বাড়িয়েছিল টিভিএস। কিন্তু পরে হোন্ডা আর সুজুকির সঙ্গে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ে ফের সঙ্গীর খোঁজে ছিল তারা। উল্টো দিকে, ভারতীয় সংস্থার হাত ধরতে চাইছিল বিএমডব্লিউ-র মোটরবাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা বিএমডব্লিউ মোটোরাড-ও।
নিজেদের এই লক্ষ্য পূরণে প্রযুক্তিগত আদান-প্রদানের জন্যই সোমবার চেন্নাইয়ে একে অপরের হাত ধরার কথা ঘোষণা করল দুই সংস্থা। তাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা, ২০১৫ সালে দুই সংস্থার ব্র্যান্ডে দু’টি মোটরবাইক তৈরি করা। যাদের ইঞ্জিন হবে ৫০০ সিসির কম। বিএমডব্লিউ-র প্রযুক্তির সাহায্যে সে দু’টি তৈরি হবে টিভিএসের কারখানায়। এ জন্য ২ কোটি ইউরো লগ্নি করবে টিভিএস।
গাড়ি শিল্প মনে করছে, এর ফলে টিভিএস যেমন উন্নত প্রযুক্তির সুফল পাবে, তেমনই বাইক উৎপাদনের একেবারে তৈরি পরিকাঠামো পাবে বিএমডব্লিউ। এখন তাদের ৬০০-১৬০০ সিসির মোটরসাইকেল তৈরি হয় বার্লিনের কারখানায়।
দুই সংস্থাই ২৫০-র বেশি অথচ ৫০০-র কম সিসি ইঞ্জিনের বাইকের বাজার ধরতে কতটা মরিয়া, তা স্পষ্ট তাদের শীর্ষ কর্তাদের কথাতেই। টিভিএসের চেয়ারম্যান বেণু শ্রীনিবাসন বলেন, “আমরা এখন ২৫০ সিসির বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেল তৈরি করি না।” বিএমডব্লিউ মোটোরাডের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন শ্যালর আবার মেনে নিচ্ছেন, “৫০০ সিসির কম বাইক তৈরি করা আমাদের কাছে ভীষণ জরুরি।” |
কৃষ্ণকুমার নটরাজন এই অর্থবর্ষে ন্যাসকমের চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি মাইন্ডট্রি-র এমডি-সিইও। আর চন্দ্রশেখরন হলেন ভাইস চেয়ারম্যান। |