টুকরো খবর
একসঙ্গে নিখোঁজ ১০০ হাতি
শেষ রাতে হুলাকর্মীদের চোখে পাতা লেগে গিয়েছিল। হুঁশ ফিরতেই তাঁদের চোখ ছানাবড়া! একটিও হাতি নেই। ১০০ হাতির সব ক’টিই গায়েব হল কী করে? রবিবার এইর উত্তর খুঁজতে নাজেহাল উত্তর বাঁকুড়া বনবিভাগের কর্তা-কর্মীরা। বাঁকুড়ার বড়জোড়ার জঙ্গল থেকে ক’দিন আগে দলমা ও ময়ূরঝর্নার প্রায় ১৩০টি হাতিকে ফেরত পাঠাতে মশাল ও পটকা নিয়ে অভিযানে নেমেছিলেন হুলা কর্মীরা। ময়ূরঝর্নার দলটি বিষ্ণুপুর পর্যন্ত এগোলেও, বেঁকে বসে দলমার ১০০টি হাতি। দল ভেঙে হুলা কর্মীদের তারা বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছিল। কিন্তু নাছোড় হুলা কর্মীদের নজর এড়াতে পারছিল না। গোল বাধল শনিবার রাতে। এক হুলা কর্মীর কথায়, “পাত্রসায়রের বীরসিংহ ও সোনামুখীর মানিকবাজার লাগোয়া জঙ্গলে হাতিগুলো ছিল। কিন্তু, ক’দিন ধরে টানা খেদিয়ে আমরা বেশ কাহিল হয়ে পড়েছিলাম। ঘুমও এসে যায়। কিছু হুলা কর্মীর হাঁকডাকে ঘুম চটকে যেতেই দেখি সব হাতি ভোঁ-ভা।” আশপাশের জঙ্গল চষেও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতিদের দেখা মেলেনি। বনকর্তারা মনে করছেন, বড়জোড়ার কুমড়ো আর ধানের স্বাদ ভুলতে না পেরে বোধহয় হাতির পাল সেখানেই ফিরে গিয়েছে।

দাঁত-কাটা হাতির দেহ উদ্ধার
দাঁতকাটা অবস্থায় এক পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হল। রবিবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের রায়ডাক বনাঞ্চলে ৫ নম্বর কম্পার্টমেন্ট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এদিন সকালে টহলদারির সময় বনকর্মীরা দেহটি দেখতে পান। ঘটনাস্থলে যান বন কর্তারাও। দাঁতালটির দুটি দাঁতই কাটা ছিল। তবে দাঁতা কাটা ছাড়া হাতিটির দেহে কোনও ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। চোরা শিকারিদের হাতেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে বন কর্তারা জানিয়েছেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জেভি জানিয়েছেন, ৩-৪ দিন আগে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। খাবারের সঙ্গে বিষয়ক্রিয়ায় হাতিটির মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ
ছাগলের টোপে চিতাবাঘকে খাঁচাবন্দি করল বন দফতর। শনিবার ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের মেটেলির সোনগাছি চা বাগানে। রবিবার সেটিকে গরুমারার জঙ্গলে ছাড়া হয়। জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণী ২ বিভাগে ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “দুই বছর বয়সের স্ত্রী চিতাবাঘটি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকায় তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।” চিতাবাঘ ধরা পড়ায় আতঙ্ক কেটেছে। যদিও তারা জানান, আরও চিতাবাঘ ঘোরাঘুরি করছে। বন দফতরের তরফে নজরদারি শুরু হয়েছে।
— নিজস্ব চিত্র।
সোনগাছির ম্যানেজার রাধেশ্যাম খান্ডেলওয়াল বলেন, “শ্রমিক আবাসের আশপাশ দিয়ে চিতাবাঘটি ঘোরাঘুরি করছিল। সেই কথা আমরা বন দফতরকে জানাই। এই বাগানে আরও চিতাবাঘ রয়েছে বলে আমাদের ধারণা।” বন দফতর সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে সোনগাছি বাগানে চিতাবাঘের হানা চলছে। সম্প্রতি তা বেড়ে যায়। প্রতি রাতেই কারও হাঁস, কারও বাড়িতে ঢুকে মুরগি, ছাগল নিয়ে যায় সেটি। রাতে বেরোতে সাহস পাচ্ছিলেন না বাসিন্দারা। চিতাবাঘটি বন্দি করতে ১২ দিন আগে চা বাগানের নাখটি ডিভিশনের ১১ নম্বর সেকশনে খাঁচা বসায় বন দফতর। তার পরে এ দিন ভোরে ছাগলের লোভে খাঁচায় ঢুকে সেখানে বন্দি হয়ে যায় চিতাবাঘটি।

মৃত হরিণ
— নিজস্ব চিত্র।
কুকুরের হামলায় মারা গেল একটি হরিণ। রবিবার ডুয়ার্সের মরাঘাট জঙ্গল সংলগ্ন খুঁট্টিমারি পঞ্চায়েত এলাকার গারকুট্টা গ্রামে। এ দিন বেলা দুটা নাগাদ জঙ্গল ছেড়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে পূর্ণ বয়স্ক হরিণটি। তিনটি কুকুর সেটিকে আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলে হরিণটি মারা যায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.