চৈত্রের শুরুতেই রীতিমত তপ্ত মাঠঘাট। সামান্য ফুলকি থেকে আগুন ছড়িয়ে ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে বিঘের পর বিঘে জমির ফসল। কিংবা একের পর এক বাড়ি, পাড়া। ফি বছরই গ্রীষ্মে ঘটে এমন অগ্নিকান্ড।
গত কয়েক সপ্তাহে নদিয়া-মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েক জায়গায় আগুন লেগেছে। শুক্রবার সকালে মুরুটিয়ার ব্রজনাথপুরে উনুনের আগুন ছড়িয়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে প্রায় ৪২ টি বাড়ি। দমকলের দুটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ঘরের জিনিসপত্র। এ দিনই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে থানারপাড়ার চর মোক্তারপুর গ্রামের দশটি বাড়ি, মুরুটিয়ার ফুলবাড়িতে পুড়ে গিয়েছে একটি পানের বরজ। তেহট্টের আসতুল্লানগর, চিলাখালি ও বিনোদনগরেও এ দিন আগুন লাগে।
তেহট্টের মহকুমাশাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে শুক্রবার মহকুমার সাতটি এলাকায় আগুন লেগেছে। সব জায়গাতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
এ দিন জলঙ্গির ঝাউদিয়া গ্রামেও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে আশিটি বাড়ি। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বিঘা জমির ফসলও। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে তিরিশটি গবাদি পশু। শুক্রবার দুপুরে উনানের আগুন ছড়িয়ে পড়তেই দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে গোটা পাড়া। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে যা পোড়ার পুড়েছে।
এ দিন জলঙ্গির চরকাকমারিতে পুড়ে গিয়েছে পাঁচটি বাড়ি। খয়রামারি, সাহেবনগর, ঘোড়ামারা গ্রামেও এদিন বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়ে গিয়েছে। ডোমকলের মহকুমাশাসক প্রশান্ত অধিকারী বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে। পাঠানো হয়েছে ত্রাণ সামগ্রীও।’’
অন্য দিকে শুক্রবার দুপুর নাগাদ খড়গ্রামের তেলসুন্দি গ্রামে প্রথমে তমাল প্রধানের বাড়ি আগুন ধরে। পরে তা আরও দু’টি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টাতেই নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। পরে যায় দমকল। |