ছোট এজলাসে শুনানি শুরু হয়েছিল বলে কমিশন বনাম সরকারের মামলা শোনার জন্য অনেকেরই ঠাঁই হয়নি প্রথম দিনে। উৎসাহীদের ভিড়ের চাপে ওই দিন এজলাসের দরজাও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। অবশেষে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার থেকে মামলার শুনানি শুরু হল তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বড় এবং প্রশস্ত এজলাসে। আর তাতে বেশে খুশি কমিশন এবং সরকারের দুই পক্ষের আইনজীবীরা। বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এ দিন শুনানি শুরুর সময় কমিশনের আইনজীবী সমরাদিত্য পালের কাছে জানতে চান, এজলাসে ঢুকতে তাঁর কোনও অসুবিধা হয়েছে কি না! সমরাদিত্যবাবু বিচারপতিকে জানান যে তাঁর কোনও অসুবিধা হয়নি। একই ভাবে বিচারপতি জিপি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রশ্ন করেন, বড় এজলাসে তাঁর কেমন লাগছে? উত্তরে জিপি জানান, খুব ভালো লাগছে। চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার হাইকোর্টের ২৩ নম্বর এজলাসে কমিশন-সরকারের মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। আর ওই দিন ভিড়ের চাপে দু’পক্ষের আইনজীবীদেরই এজলাসে ঢুকতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। এজলাসের ভিতরে ঠেলাঠেলির চাপে এক সময় পরিস্থিতি এমন হয় যে সাময়িক ভাবে ওই দিন শুনানিও বন্ধ রাখতে হয়। সে দিনই শুনানির শেষে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বড় ঘরে। আর এ দিন হয়েছেও তাই। ২৩ নম্বর থেকে মামলা উঠে গিয়েছে হাইকোর্টের নতুন বাড়ির ৩৪ নম্বর এজলাসে।
|
তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের সই পরীক্ষার জন্য সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদলত সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান সিন্টু হালদারের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আশা প্রকল্পে অনৈতিক ভাবে চাকরিতে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ২০১০ সালে ১৪ অক্টোবর সিন্টুবাবু পঞ্চায়েত প্রধানের ক্ষমতাবলে তাঁর স্ত্রী শিখা হালদারকে আশা প্রকল্পের চাকরিতে নিয়োগ করেন। এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণা হালদার। ওই মহিলার অভিযোগ, সিন্টুবাবুর স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যা। তা সত্ত্বেও প্রধান অনৈতিক ভাবে স্ত্রীকে চাকরিতে নিয়োগ করেছেন। বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও মুরারিপ্রসাদ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার সিন্টুবাবুকে আদালতে ডেকে নিয়োগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সই এবং তাঁর স্ত্রীর নিয়োগপত্রও সিন্টুবাবুকে দেখানো হয়। নিয়োগপত্র ও সই জাল বলে বিচারপতিদের জানান সিন্টুবাবু। শুনে সিআইডিকে ওই নিয়োগপত্র ও প্রধানের সইয়ের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। হস্তরেখা বিশারদকে দিয়ে সই ও নিয়োগপত্রে ব্যবহৃত সিল পরীক্ষা করে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে সিআইডিকে।
|
পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম বিনয় বাগ। তাকে পুলিশ হাওড়ার শিবপুর থেকে পাকড়াও করা হয়। জানুয়ারিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিক্সড ডিপোজিট করানোর নাম করে টাকা জালিয়াতি করা হয়। মার্চে পশ্চিমবঙ্গ পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমেও ঠিক একই কায়দায় জালিয়াতির কথা জানা যায়। তদন্তকারীদের বক্তব্য, দু’টি ঘটনায় একই চক্র কাজ করছে বলে সন্দেহ। ওই ঘটনাতেই প্রদীপ চোংদারের নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে বিত্ত নিগমের চেক ভাঙানো হয়েছিল। পরে জানা যায়, ওই নামে কোনও ব্যক্তির অস্তিত্ব নেই। অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো। পুলিশি সূত্রের খবর, প্রাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্ত বিনয় বাগ বিত্ত নিগমের তছরুপেও যুক্ত বলে অভিযোগ। বিনয়ই প্রদীপ চোংদার নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁকে লালবাজারে টানা জেরা করছেন তদন্তকারীরা। |