লামদের ভারতে পাঠাবে জার্মান ফেডারেশন
বুন্দেশলিগার জনপ্রিয়তা বাড়াতে ফিলিপ লাম, থমাস মুলার, সোয়াইনস্টাইগার, মার্কো রইস, মারিও গাটসের মতো তারকাদের ভারতে পাঠাতে চায় জার্মান লিগ ফেডারেশন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলা দেখতে রাতের পর রাত জাগেন ভারতের ফুটবলপ্রেমীরা। বিশ্বের অন্যতম সেরা বুন্দেশলিগার ম্যাচ দেখতে এখনও তেমন আগ্রহ গড়ে ওঠেনি ভারতে। সে জন্যই এ দেশের বাজার ধরতে চাইছে তাঁরা। বুন্দেশলিগার পরিচালক বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাই ডামহলস বৃহস্পতিবার ফ্রাঙ্কফুর্টে তাঁর ঝাঁ চকচকে অফিসে বসে বললেন, “বিশ্বের যে দশটি দেশে আমরা আমাদের লিগ জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছি তার মধ্যে ভারত আছে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি বায়ার্ন মিউনিখ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মতো দলগুলিকে ভারতে নিয়ে গিয়ে কিছু প্রদর্শনী ম্যাচে খেলাতে।”
আই লিগ বা কলকাতা ডার্বিতে মাঠে এক লাখের উপর লোক হয়। আই লিগে খেতাবের লড়াইতে তিন-চারটে দলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। আই লিগের ডার্বি ম্যাচ বিরতিতে মোহনবাগান দল তুলে নেওয়ায় তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। যাতে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের আবেগের বিস্ফোরণ হয়েছিলসবই খোঁজ রাখেন জার্মান ফুটবল সংস্থার কর্তারা। কিন্তু এত রসদ ও জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও কেন আই লিগ, ফেড কাপের মতো টুর্নামেন্টে ফেডারেশন স্পনসর জোগাড় করতে পারে না, তা ভেবে অবাক ডিএলএফ কর্তারা। বৃহস্পতিবার প্রায় সারা দিন নানা ভিডিও ক্লিপিংস, প্রেজেন্টেশনের মধ্যে দিয়ে তাঁরা দেখালেন কী ভাবে পঞ্চাশ বছরে পা দেওয়া বুন্দেশলিগাকে প্রচুর লাভজনক করে তুলেছেন।
লাম ও সোয়াইনস্টাইগার। বুন্দেশলিগার প্রচারে ভারতে দেখা যেতে পারে যাঁদের।
কী করা হচ্ছে জার্মান লিগকে জনপ্রিয় করতে? ১) স্টেডিয়ামে যাতে বেশি দর্শক আসে সে জন্য সব রকম সুবিধা। ২) টিভি ছাড়াও ইউ টিউব, রেডিওতে ম্যাচ চলার খুঁটিনাটি মুহূর্ত পৌছে দেওয়া হচ্ছে। ৩) যে যে দেশের ফুটবলার জার্মান লিগে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলে তাদের দেশে লিগের ম্যাচ দেখানো শুরু হয়েছে। যাতে প্রচুর টাকা দিয়ে টিভি স্বত্ত্ব কেনা চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন বাড়ে। ৪) ম্যাচের সময় এমন আসন রাখা, যাতে স্টেডিয়াম ভর্তি হয়ে যায়। ৫) দর্শকদের দূরের স্টেডিয়ামে যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রাম, ট্রেন বাসের ব্যবস্থা। অর্থাৎ হাতে বুন্দেশলিগার টিকিট থাকলেই বিনা পয়সায় শনিবারের মুলার-লামদের খেতাব জেতার ম্যাচ দেখতে যেতে পারবেন দর্শকরা।
ফুটবল জনপ্রিয় করার জন্য আই লিগ বা কলকাতা লিগে এই পাঁচটি বিষয় নিয়ে কখনও চিন্তাভাবনা করেননি ফেডারেশন ও আই এফ এ কর্তারা। ক্লাব কর্তারাও তো একই পথের পথিক! বায়ার্ন বা ফ্রাঙ্কফুর্ট যেমন টিকিটের একটা অংশ দেয় সরকারকে, সে রকম তো হতেই পারত বাংলায়।
কল্যাণীতে দুপুর দু’টোয় তীব্র গরম ও চড়া রোদে আই লিগের ম্যাচ খেলা নিয়ে সরব হয়েছেন ট্রেভর মর্গ্যান, করিম বেঞ্চারিফারা। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল টিভি স্পনসরদের জন্যই এটা মানতে হয়েছে। জার্মানিতে ঠিক উল্টো। সপ্তাহের মাঝখানে দুপুর দু’টোয় ম্যাচ শুনে অবাক জার্মান লিগ কর্তারা। তাদের এক কর্তার প্রশ্ন, ওই সময় তো দর্শকরা অফিসে থাকে? খেলা দেখবে কে? ভারত থেকে আসা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাই ডামহেলস বলছিলেন, “দর্শক যখন মাঠে আসতে পারবে তখনই ম্যাচ হবে। ম্যাচের সময় নিয়ে স্পনসরদের সঙ্গে কোনও আপস করি না। ইউরোপের অন্য সব জনপ্রিয় লিগের চেয়ে টিকিটের দামও কম রেখেছি। আমরা চাই স্টেডিয়াম সব সময় ভর্তি থাক।”
জার্মান ফুটবল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হল দর্শক-সমর্থকই তাদের কাছে লিগ জনপ্রিয় করার প্রধান অস্ত্র এবং রসদ। অপেশাদার ফেডারেশন ও আই এফ এ কর্তাদের কাছে যা সবথেকে কম গুরুত্ব পায়।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.