তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’ রুখতে প্রশাসনের দ্বারস্থ বামেরা |
তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’-এর প্রতিবাদে এবং ঘরছাড়া দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ফেরানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার পুলিশ-প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিল হুগলি জেলা বামফ্রন্ট। বামেদের অভিযোগ, বামপন্থী কর্মী-সমর্থকদের উপর তৃণমূলের হামলা বাড়ছে। মিথ্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে।
এ দিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী, জেলা সভাধিপতি প্রদীপ সাহা, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রিয়রঞ্জন পাল, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নৃপেন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রথমে পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী এবং তার পরে জেলাশাসক মনমীত নন্দার হাতে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। বুধবার বিকেলে শ্রীরামপুরে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনেও তৃণমূলের ‘অত্যাচার’ নিয়ে সরব হন বামনেতারা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “সম্প্রতি আরামবাগে একটি বোমা ছোড়ার ঘটনায় আমাদের প্রথম সারির নেতাদের নাম জড়ানো হয়। প্রাক্তন বিধায়ক বিনয় দত্ত চেন্নাই গিয়েছেন চোখের চিকিৎসার জন্য। তৃণমূল বোধহয় এই তথ্যটা জানত না। তাই বিনয়বাবুর নামও ওই অভিযোগে ঢোকানো হয়েছে।” পুলিশকেও এক হাত নেন বামফ্রন্টের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তৃণমূল নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। তৃণমূল অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। অভিযোগ ও দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।
|
হাইটেনশন বিদ্যুতের লাইন নিয়ে আপত্তি |
জনবহুল গ্রাম দিয়ে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদুতিক লাইন নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের বাসিন্দারা হুগলির জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেন। টাটাদের প্রকল্প এলাকায় রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির যে সাবস্টেশন রয়েছে, তার প্রয়োজনেই ওই লাইন নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জনবহুল এলাকার মধ্য দিয়ে ওই নিয়ে যাওয়া আইন বিরুদ্ধ। কারণ ওই তার থেকে যে কোনও সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, ওই কাজে বহু প্রাচীন গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে একজোট হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন গ্রামবাসীরা। ‘সিঙ্গুর গ্রাম সুরক্ষা কমিটি’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের পক্ষে অমিতা বাগ বলেন, “শুধু দুর্ঘটনা নয়, ওই উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তার থেকে নানা মারণ রোগ হতে পারে। তাই আমরা গ্রামের মধ্যে দিয়ে ওই তার যেতে দেব না।” জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ দফতর এর আগে জানিয়েছিল, প্রয়োজনে তারা গ্রামবাসীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছে।
|
জলের দাবিতে বিক্ষোভ হাওড়ায় |
জলের দাবিতে বৃহস্পতিবার হাওড়া পুরসভায় মেয়রের ঘরের সামনে মাটির হাঁড়ি-কলসি ভেঙে বিক্ষোভ দেখালেন মধ্য হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় দেড় হাজার সমর্থক। তাঁদের অভিযোগ, গরম পড়তেই মধ্য হাওড়া জুড়ে প্রবল জলকষ্ট শুরু হয়েছে। কিন্তু পুরসভা নির্বিকার। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন মহিলারাও। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন মধ্য হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, শুধু পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জলের সমস্যাই নয়, হাওড়ায় আরও যে সব সমস্যা রয়েছে সেগুলি হল বেহাল নিকাশি, ভাঙা রাস্তা, স্কুল-কলেজ ও বাজারের পাশে পড়ে থাকা আবর্জনা এবং বেআইনি বাড়ি। এর দ্রুত সমাধান না হলে ভবিষ্যতে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
|
কোলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে বুধবার রাতে চুরির চেষ্টা হল হুগলির হরিপালের একটি সমবায় ব্যাঙ্কে। পুলিশের অনুমান, পশ্চিম গোপীনাথপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ওই ব্যাঙ্কে চুরির মতলবে হানা দিয়ে গেটের তালা ভাঙলেও ভিতরে ঢুকতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় গেটের তালা ভাঙা। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। |