|
|
|
|
যদি না যেতেন অজ্ঞাতবাস |
তা হলে সুচিত্রা সেনের কাছে আপামর বাঙালির এক ডজন প্রশ্নের জবাব
বকেয়া থাকত না। মায়ামিতে বসে সেই প্রশ্নগুলোই বাছলেন পরিচালক সুমন ঘোষ
|
১.
উত্তম কুমারের মৃত্যু গত চল্লিশ বছরের বাংলা ছবির ইতিহাসে এই ঘটনাটি বোধ হয় সব থেকে বেদনাদায়ক। উত্তম-সুচিত্রার কিংবদন্তি জুটির আজও বিকল্প নেই। মালা দিতে যদিও তিনি গিয়েছিলেন, তবু জানা হয়নি মহানায়কের মৃত্যুতে সুচিত্রা সেনের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
২.
উত্তম কুমারের মৃত্যুদিবসে প্রত্যেক জুলাই মাসে যখন বাঙালি উদ্বেল হয়ে ওঠে উত্তমের নানা স্মৃতিচারণায়, সুচিত্রা সেনের মানসিক পরিস্থিতি কী রকম হয় ২৪ জুলাই?
৩. সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার সুচিত্রা সেনের সঙ্গে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বেশ কিছু ঐতিহাসিক ছবি যেমন, ‘সাত পাকে বাঁধা’ বা ‘দত্তা’ বাঙালির হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সৌমিত্র দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার অনুষ্ঠানে ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’ পেয়েছিলেন। কেমন হত যদি সেই সব স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বের মধ্যে সুচিত্রা সেনও থাকতেন? সৌমিত্র নিয়ে কীই বা বলতেন?
৪. ‘ঘরে বাইরে’ শোনা যায় সত্যজিৎ রায় নাকি ‘ঘরে বাইরে’ ছবিতে বিমলা চরিত্রে সুচিত্রা সেনকে ভেবেছিলেন। সেটা যদি হত তা হলে বাংলা চলচ্চিত্র এক স্মরণীয় ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকত। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে উত্তম কুমারের ‘নায়ক’ ছিল। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে ‘নায়িকা’ও যে পেতে পারত বাঙালি, ভাবলে তাঁর কী মনে হয়?
৫.
সুচিত্রা-সৌরভগত দু’দশক ধরে বাঙালিকে একটা আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে গিয়েছেন যিনি, সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, তাঁর টিনএজে পড়া এমন সময়ে যখন সুচিত্রা সেন নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে। অতএব কোনও দিন একই মঞ্চে পাওয়া গেল না সৌরভ-সুচিত্রাকে। সুচিত্রা কি খবর রাখেন সৌরভের?
৬
দুই বাংলার মিলন বাংলাদেশে সুচিত্রা সেনের জনপ্রিয়তা এই বাংলার মতোই। তাঁর জন্ম পাবনায়। বাংলাদেশিরা তাঁকে সেখানকার বলে দাবি করেন। ভাষাগত ভাবে এক হওয়া সত্ত্বেও এই দুই বাংলার চলচ্চিত্র জগৎ আলাদা সুচিত্রা সেন কি পারতেন এদের মেলবন্ধন ঘটাতে? পদ্মাপারে তাঁর উপস্থিতি কি পারত না আপাতদৃষ্টিতে দুঃসাধ্য কাজটা করতে? |
|
৭.
মেয়ে, নাতনির সঙ্গে মুনমুন সেনের পর এখন রাইমা বাংলা ছবির শীর্ষস্থানীয় নায়িকা। কেন জানি মনে হয় এঁদের তিন জনকে যদি দর্শক একই ছবিতে একসঙ্গে দেখতে পেতেন! কেমন হত তা হলে?
৮. ঋতুপর্ণর ছবিতে সুচিত্রা সেন বাংলা ছবিতে মহিলাদের চরিত্রায়ন ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো দক্ষতা নিয়ে বোধহয় আর কোনও আধুনিক পরিচালক করতে পারেননি। তাঁর বাংলা ছবিতে আগমন সুচিত্রা সেনের অন্তরালে যাওয়ার অনেক পর। যদি ‘বাড়িওয়ালি’র কিরণ খেরের চরিত্রটি তিনি করতেন, তা হলে কি জাতীয় পুরস্কার তিনিই পেতেন না?
৯. সুচিত্রা, অপর্ণা একসঙ্গে সমসাময়িক কত অভিনেত্রীকে অসাধারণ চরিত্রে রূপায়ণ করেছেন অপর্ণা সেন নিজের ছবিতে। ‘পরমা’ বা ‘সতী’, এমনকী ‘পারমিতার এক দিন’-এ তাঁর নিজের অভিনীত চরিত্রটিতে কি সুচিত্রা সেনকে বাঙালির কাছে উপস্থাপন করতেন? কেমন হত সেই যুগলবন্দী?
১০. বাংলার ‘নিউ এজ’ ছবি সম্প্রতি রুচিসম্মত কিন্তু বাণিজ্যিক ভাবে সফল ছবি বাংলা চলচ্চিত্রের জগৎটা পাল্টে দিয়েছে। রাইমা সেই ধরনের একাধিক ছবির নায়িকা। ‘অনুরণন’ বা ‘বাইশে শ্রাবণ’য়ের মতো ছবি উপহার দেওয়া পরিচালকদের সঙ্গে কি কখনও কাজ করতে ইচ্ছে করেছে সুচিত্রার?
১১. জাতীয় স্তরে বাংলা ছবি বাংলা ছবিকে একটি জাতীয় স্তরে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে বেশ কিছু বছর ধরেই। প্রধানত ‘ফিকি’র মাধ্যমে। সুচিত্রা সেন তাঁর ‘আঁধি’ বা ‘মমতা’র মতো হিন্দি ছবিতে সারা ভারতের মন জয় করেছিলেন। কেমন হত যদি ‘ফিকি’র মঞ্চে প্রসেনজিতের অনুরোধে সুচিত্রা সেন হাজির হতেন বাংলা ছবির কর্ণধার হিসেবে?
১২. পরিবর্তন গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন ঘটে গেল। ‘আমরা-ওরা’ বিভাজন চলচ্চিত্র জগতেও প্রকট। কোন দিকে থাকতেন সুচিত্রা সেন?
|
জন্মদিনের তিন প্রশ্ন |
|
অপর্ণা সেন
আপনি অসামান্য সুন্দরী। বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় নারী।
কিন্তু এত বছর যে স্বেচ্ছা নির্বাসন নিলেন, আজ ফিরে
তাকালে কী মনে হয়? সেই সিদ্ধান্ত কি সঠিক ছিল? |
যোগেন চৌধুরী
আপনার অনুরাগীর সংখ্যা
সীমাহীন।
তবু এত দিন ধরে
কেন অসূর্যম্পশ্যা হয়ে রইলেন? |
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
হলিউডের কোন অভিনেতা বা নায়কের নায়িকা হওয়ার
ইচ্ছে পোষণ করতেন? |
|
|
|
|
|
|