স্কুল চলাকালীন পড়ুয়াদের নিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশ বা মিছিল করা চলবে না বলে নির্দেশ রয়েছে শিক্ষা দফতরের। তা উপেক্ষা করেই বুধবার পুরুলিয়ার বরাবাজারের একটি স্কুল ছুটি দিয়ে ছাত্রীদের এসএফআইয়ের মিছিলে হাঁটানোর অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বিডিও-র কাছে বরাবাজার গার্লস স্কুলের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে লিখিত আবেদন করেছে তৃণমূল।
কলকাতায় পুলিশ হেফাজতে এসএফআইয়ের তরুণ নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর প্রতিবাদে এ দিন রাজ্য ব্যাপী প্রতিবাদ মিছিল করে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফ। বরাবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুদর্শন মাহাতো বলেন, “এ দিন সকালে দেখি এসএফআইএর মিছিল বাজার পরিক্রমা করছে। ওই মিছিলে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে বরাবাজার গার্লস স্কুলের ছাত্রীরাও রয়েছে। অনেকের হাতে ওই দুই সংগঠনের পতাকা ও ফেস্টুন রয়েছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ নসিমের দাবি, “খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন স্কুল ছুটি দিয়ে পড়ুয়াদের মিছিলে নিয়ে যাওয়া হল, তা প্রধান শিক্ষিকার কাছে জবাব পাইনি। সে জন্যই আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি বিডিও-র কাছে।”
গরমের জন্য পুরুলিয়ার কিছু কিছু স্কুলে সোমবার থেকে সকালে ক্লাস হচ্ছে। সাড়ে ১০টায় স্কুল ছুটি হয়। এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি গৌরব সিংহের দাবি, “স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে অভিভাবকেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ও স্বেচ্ছায় তাঁদের মেয়েদের নিয়ে মিছিলে গিয়েছিলেন। ছাত্রীদের পরনে স্কুলের পোশাক ছিল না।” যদিও অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাঁদের অজান্তেই সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ স্কুল ছুটি দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রায় তিনশো ছাত্রীকে মিছিলেন নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের বক্তব্য, “স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কি ছাত্রীদের মিছিলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব?” স্কুল ছুটি দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয় জানিয়ে বরাবাজার গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কুন্তা লায়েক বলেন, “পড়ুয়াদের মিছিলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে কেউ আমাকে জানায়নি। আমার অজান্তেই এই ত্রুটি হয়ে গিয়েছে।” বরাবাজারের বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, “স্কুল ছুটি দিয়ে পড়ুয়াদের রাজনৈতিক মিছিলে হাঁটানো ঠিক কাজ হয়নি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই কথা বলেছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রাধারানি মুখোপাধ্যায়। |