মৃতদেহ সংরক্ষণের কেন্দ্র খুলছে কলকাতা পুরসভা। এর আগে শহরে মৃতদেহ সংরক্ষণের কোনও সরকারি ব্যবস্থা ছিল না। পিস হাভ্ন নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপরেই ভরসা করতে হত শহরবাসীকে। বুধবার কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রয়োজনের তাগিদেই ওই সংরক্ষণ কেন্দ্রটি খোলা হচ্ছে। পুরসভার ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে ২, ক্রিমেটোরিয়াম স্ট্রিটে ওই কেন্দ্রটি খোলা হবে।” এ দিন পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈঠকে মৃতদেহ সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ার বিষয়টি অনুমোদিত হয়। শোভনবাবু জানান, এর জন্য খরচ হবে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। খুব শীঘ্রই ওই কেন্দ্র গড়ার কাজ শুরু হবে বলে জানান মেয়র।
পুর সূত্রের খবর, মেয়র পারিষদের বৈঠকে শহরের পাঁচটি রাস্তার নতুন নামকরণ অনুমোদিত হয়েছে। লেক টেরেস রোড হচ্ছে দেবব্রত বিশ্বাস সরণি, দেশপ্রিয় পার্ক রোড পরিচিত হবে শ্যামল মিত্র সরণি নামে। এ ছাড়া, বাবুরাম ঘোষ লেন থেকে করুণাময়ী ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা মহানায়ক উত্তমকুমার সরণি হচ্ছে। নিউ পার্ক স্ট্রিট হচ্ছে উস্তাদ হাফিজ আলি খাঁ সরণি এবং চণ্ডাল পাড়া লেন তারাপদ সাঁতরা সরণি নামে পরিচিত হবে।
|
বাড়ি থেকে মহাকরণ যাওয়ার পথে বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই যান এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে মৃত এসএফআই নেতার ময়না-তদন্ত সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে তিনি চলে যান কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম। লালবাজারের অন্দরমহল ঘুরে দেখেন তিনি। সুদীপ্তের মৃত্যুতে অভিযোগ উঠেছে মূলত পুলিশের বিরুদ্ধেই। সেই সুদীপ্তের ময়না-তদন্তের তদারকির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পিজি-তে যাওয়া এবং তার পরেই লালবাজার ঘুরে দেখা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
লালবাজারে পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ এবং অন্য পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে নিয়ে কন্ট্রোল রুমে যান। নিজের মোবাইল থেকে ‘১০০’ নম্বরে ফোন করে দেখেন, ফোন ব্যস্ত রয়েছে। এর পরে মুখ্যমন্ত্রী ট্রাফিক বিভাগ ঘুরে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য পুলিশকর্তারা মুখ খোলেননি। তবে এসএফআই ছাত্রটি কী ভাবে আঘাত পেয়েছে, সেই বিষয়েও তিনি খোঁজখবর করেছেন বলে পুলিশি সূত্রেই জানা গিয়েছে।
|
তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের ‘বাধা’য় বুধবার বরাহনগর পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের স্মরণে নীরবতা পালন করা যায়নি বলে অভিযোগ তুললেন বাম প্রতিনিধিরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, বৃহস্পতিবার থেকে তাঁদের পুরসভায় ঢুকতে দেবে না বলে হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। পুর-প্রধান, তৃণমূলের অপর্ণা মৌলিক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ঢুকতে না-দেওয়ার কথা বলা হয়নি।” পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে পুর মাসিক অধিবেশন শুরুর পরেই বাম কাউন্সিলরেরা দাবি করেন, সুদীপ্তের স্মরণে নীরবতা পালন করতে হবে। তৃণমূল কাউন্সিলরেরা তা মানতে চাননি। সিপিএম কাউন্সিলর অশোক রায় বলেন, “রাজনীতির বাইরে গিয়ে একটি ছাত্রের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করা উচিত বলে আমরা দাবি করি। কিন্তু ওঁরা তা মানতে চাননি।” বামেরা অধিবেশন বয়কট করে বেরিয়ে যান। অপর্ণা মৌলিক বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অধিবেশন বয়কট করা হয়েছে।” |