অসময়ের বন্ধু
খন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন...। তখনও যাতে পরিবার সুরক্ষিত থাকে, সেই জন্যই না জীবনবিমা করা। আজ আমার হঠাৎ কিছু হয়ে গেলেও পথে দাঁড়াবে না পরিবার। সামাজিক নিরাপত্তার এই নিশ্চিন্তিটুকু পেতে চাই বলেই এত কষ্ট করে জীবনবিমার প্রিমিয়াম গুনি আমরা।
তবে হ্যাঁ, শুধু পরিবারকে নিজের জীবনের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখতেই যে এই বিমা কেনা হয়, এমনটা আদৌ নয়। কারণ, আমাদের কাছে তা দীর্ঘ মেয়াদি সঞ্চয়ের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। শেয়ার বাজারে টাকা ঢালার অন্যতম পথও।
কিন্তু কী আশ্চর্য! এত কিছুর পরেও জীবনবিমার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার নয় অনেকেরই। তাঁরা ভাবেন, শুধু শুধু অদেখা ঝুঁকির পিছনে এতগুলো টাকা লগ্নি করা কেন? অনেকে আবার বিমা করতে আগ্রহী। কিন্তু কী কী প্রকল্প বাজারে আছে কিংবা তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো ঠিক কী সে সব নিয়ে অন্ধকারে। তাই আসুন, আজ খুব জরুরি এই বিষয়টা নিয়ে এক প্রস্ত আলোচনায় বসি।


প্রকল্পের রকমফের
জীবনবিমা কেন করা উচিত, তা নিয়ে গোড়াতেই আলোচনা সেরে ফেলেছি আমরা। তাই এ বার সরাসরি ঢুকে পড়া যাক এর পরিসরে থাকা বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের চৌহদ্দিতে।
মূলত তিন ধরনের প্রকল্প বাজারে চালু
• এনডাওমেন্ট
• ইউনিট লিঙ্কড (ইউলিপ)
• টার্ম অ্যাশিওরেন্স
এ বার এক-এক করে এদের প্রতিটির মূল বৈশিষ্ট্য আর সুবিধা-অসুবিধা খতিয়ে দেখব আমরা।
এনডাওমেন্ট প্রকল্প: এই প্রকল্পই কিন্তু ভারতে জীবনবিমার ভগীরথ। এবং তিন ধরনের প্রকল্পের মধ্যে হয়তো সব থেকে বেশি জনপ্রিয়ও। আগে একটা সময়ে বাজারে শুধু এই ধরনের প্রকল্পই চালু ছিল। তাই বিমা শিল্পে তা ট্র্যাডিশনাল বা চিরাচরিত প্রকল্প হিসেবে পরিচিত। এতে বিমার সুরক্ষার ছাতা যেমন মাথার উপরে থাকে, তেমনই পুরো মেয়াদ প্রিমিয়াম গুনলে, তার শেষে হাতে পাওয়া যায় বোনাস-সহ টাকা।

কিনবেন কী ভাবে?: প্রথমেই ঠিক করুন কত টাকার প্রকল্প কিনতে চান। সহজ করে বললে, ঠিক কত টাকার কভারেজ (সাম অ্যাশিওর্ড) চান আপনি।
কভারেজ (বিমার অঙ্ক) আর গ্রাহকের বয়সের ভিত্তিতেই ঠিক হবে বিমার প্রিমিয়াম। তাই বিমার অঙ্ক বা গ্রাহকের বয়স যত বেশি, তত বেশি হবে প্রিমিয়ামও।

সুবিধার খতিয়ান
• গ্রাহক বেঁচে থাকলে এবং পুরো মেয়াদ প্রিমিয়াম দিলে, তার পর বোনাস-সহ টাকা ফেরত পাওয়া এ ক্ষেত্রে নিশ্চিত।
• মেয়াদপূর্তির আগে গ্রাহক মারা গেলে, বোনাস-সহ কভারেজের টাকা ফেরত পাবেন নমিনি। তখন কতটা প্রিমিয়াম তিনি আদৌ দিতে পেরেছেন, তা আর বিবেচ্য হবে না। তবে হ্যাঁ, বোনাস হিসাব করা হবে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত।
• প্রাপ্য বোনাসের অঙ্ক অবশ্য ঠিক করবে সংস্থাই। সাধারণত প্রকল্প পরিচালনার খরচ বাদ দিয়ে আয় কেমন হয়েছে, তার উপরেই এর পরিমাণ নির্ভর করে। তাই তার হেরফেরও হতে পারে। কিন্তু যত টাকার বিমা করেছেন, অন্তত সেই টাকা ফেরত আপনি পাবেনই। তাই প্রিমিয়ামের অঙ্ক মার যাওয়ার ভয় এই ধরনের প্রকল্পে নেই। তা ছাড়া, এখন অনেক ক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত বোনাসের ভিত্তিতেও গ্রাহকদের সঙ্গে চুক্তি করছে বিমা সংস্থাগুলি।
• প্রিমিয়াম দিতে পারেন প্রতি মাসে, তিন মাসে, ছ’মাসে, এমনকী বছরেও। দেখুন, আপনার সুবিধা কীসে।
• এখন এমন প্রকল্পও বাজারে আছে, যাতে মেয়াদ শেষে গ্রাহক বোনাস-সহ পুরো প্রাপ্য টাকা পেয়ে যাওয়ার পরেও পলিসি চালু থাকবে। তবে তখন তাঁকে আর প্রিমিয়াম গুনতে হবে না। এর পর তিনি যখনই মারা যান, নমিনি ফের বিমার টাকা ফেরত পাবেন। আর সেই প্রয়োজন না-থাকলে, পলিসি সারেন্ডার করে আগেভাগেই ওই টাকা তুলে নিতে পারবেন গ্রাহক নিজে।

ইউলিপ প্রকল্প
এই প্রকল্প এনডা ওমেন্টের ঠিক উল্টো। কারণ, বিমার সুরক্ষার মূল বিষয়টি একই থাকলেও মেয়াদ শেষে প্রাপ্য টাকার অঙ্ক এখানে পুরোপুরি বাজারের উপর নির্ভরশীল। কারণ, এটি মিউচুয়াল ফান্ডের মতো মূলত শেয়ার বাজার ও ঋণপত্রের বাজার ভিত্তিক প্রকল্প। অর্থাৎ, এই প্রকল্পে সংগৃহীত অর্থ লগ্নি করা হয় শেয়ার, ঋণপত্র এবং মূলধনী বাজারে। ওই লগ্নি থেকে যা আয় হয়, তার থেকে প্রকল্প পরিচালনার খরচ বাদ দিয়ে যা থাকে, সেটাই ভাগ করে দেওয়া হয় গ্রাহকদের মধ্যে।

কিনবেন কী ভাবে?
• প্রথমেই ঠিক করুন কত টাকা প্রিমিয়ামের পলিসি কিনতে চান।

• সেই সঙ্গে ভেবে ফেলুন তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কত টাকার বিমা চান আপনি। কারণ এ ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ও কভারেজের অঙ্ক দু’ই-ই কিন্তু আপনার হাতে। সাধারণত বার্ষিক প্রিমিয়াম যত টাকার, তার ৫, ১০, ১৫ কিংবা তারও বেশি গুণ হতে পারে কভারেজ। তাই নিজের চাহিদা মাফিক তা বেছে নিতে হবে আপনাকেই।

সুবিধা-অসুবিধা
এনডাওমেন্টের মতো বোনাস পাওয়ার আশা এখানে করবেন না। কারণ, এই প্রকল্পের জন্য সংগৃহীত অর্থ খাটে বাজারে। তাই মেয়াদ শেষে কত টাকা হাতে পাবেন, তা পুরোপুরি বাজারের উপরই নির্ভরশীল। আরও স্পষ্ট করে বললে, ওই টাকা বাজারে লগ্নি করে মুনাফা বা লোকসান কী হয়েছে, তার উপর নির্ভর করছে আপনার প্রাপ্তিযোগ।
সুতরাং বাজার মুখ তুলে তাকালে আপনি রাজা। কারণ, সে ক্ষেত্রে আপনার পাওনা ছাপিয়ে যেতে পারে ‘সমতুল্য’ এনডাওমেন্ট প্রকল্পে প্রাপ্য অঙ্ককে। কিন্তু তেমনই বড়সড় লোকসান হলে, রিটার্ন তো দূরস্থান, এমনকী খোওয়া যেতে পারে প্রিমিয়ামের একাংশও। টাকা ঢালার আগে এই ঝুঁকির বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে ভুলবেন না।

মেয়াদ পূর্তির আগে গ্রাহক মারা গেলে অবশ্য ওই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে না পরিবার। কারণ, সে ক্ষেত্রে কভারেজের অঙ্ক আর ন্যাভের (নেট অ্যাসেট ভ্যালু) ভিত্তিতে হিসাব করে পাওয়া তহবিলের মূল্য এই দু’য়ের মধ্যে যেটি বেশি, সেই টাকাই হাতে পাবে তারা।

মেয়াদ পূর্তির সময়ে বাজারের হাল খারাপ থাকায় অবস্থা যদি এমন হয় যে, গ্রাহক প্রিমিয়ামের পুরো টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না, তখন সেই অসুবিধা থেকে রেহাই দিতে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বেশ কিছু সংস্থা। সে ক্ষেত্রে তখনই না-নিয়ে প্রাপ্য টাকা পরে তুলতে পারবেন গ্রাহক। যেমন ধরুন, গ্রাহক যদি মনে করেন অদূর ভবিষ্যতে বাজার ভাল হবে, তা হলে সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে পরের পাঁচ বছর ধরে ৬ মাস অন্তর টাকা তোলার বন্দোবস্ত করতে পারেন তিনি।

টার্ম পলিসি
এই প্রকল্প তাঁদের জন্য, যাঁরা সত্যি সত্যি শুধু ঝুঁকির রক্ষাকবচ হিসেবেই বিমায় লগ্নি করেন। একে সঞ্চয় হিসেবে দেখেন না। কারণ, গ্রাহক মারা গেলে একমাত্র তবেই এই প্রকল্প থেকে টাকা পাওয়া যায়। নইলে মেয়াদ শেষে এক পয়সাও নয়। যে কারণে আমাদের দেশে এ ধরনের প্রকল্প এখনও তেমন জনপ্রিয় নয়।

কিনবেন কী ভাবে?
এ ক্ষেত্রেও কত টাকার কভারেজ চান, তা প্রথমে ঠিক করুন। আর দেখে নিন সেই প্রিমিয়াম দিতে পারবেন কি না। আর হ্যাঁ, একে এনডাওমেন্ট বা ইউলিপ প্রকল্পের মতো করে না-দেখে অনেকটা স্বাস্থ্য বিমার মতো ভাবুন।

সুবিধার খতিয়ান
এই প্রকল্পের সব থেকে বড় সুবিধা কম টাকায় অনেক বেশি অঙ্কের কভারেজ। যেমন ধরুন, কারও বয়স ৩৩ হলে, ১৫ বছরের জন্য ৩০ লক্ষ টাকার এনডাওমেন্ট বিমা করতে চাইলে, তাঁকে প্রতি বছর প্রিমিয়াম দিতে হবে দু’লক্ষ টাকারও বেশি। সেখানে টার্ম পলিসিতে দিতে হবে মাত্র ৪৯২৮ টাকা।

অনেক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞই কিন্তু এই বিমা করার পক্ষপাতী। তাঁদের মতে, বিমায় মোটা টাকা আটকে রাখা বোকামি। বরং কম টাকায় টার্ম প্রকল্প কিনে ঝুঁকি এড়ানোর ব্যবস্থা করে বাকিটা মিউচুয়াল ফান্ড কিংবা অন্য কোনও চড়া রিটার্নের প্রকল্পে লগ্নি করা ভাল।

কিছু সংস্থা অবশ্য এখন সারা জীবনের জন্যও টার্ম পলিসি চালু করেছে। যেখানে গ্রাহকের মৃত্যুর পর বোনাস-সহ বিমার টাকা ফেরত পাবেন নমিনি। অনেক ক্ষেত্রে বয়স ৮০ বছর হলে, টাকা পেতে পারেন গ্রাহক নিজেও।

সাবধানের মার নেই
যে ধরনের প্রকল্পই শেষ পর্যন্ত কিনুন না কেন, তার আগে অন্তত কয়েকটা বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। যেমন

• অবশ্যই দেখে নিন সংস্থাটির বিমার টাকা মেটানোর হার (ক্লেম সেট্লমেন্ট রেশিও) কেমন।

• পলিসি কেনার সময়ে তথ্য গোপন করবেন না। বিশেষত সেই সব তথ্য, যার ভিত্তিতে প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয়। তা করলে কিন্তু পলিসির সুবিধা থেকে আপনাকে বঞ্চিত করতে পারে সংস্থা।

আয়করে ছাড়
আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী বিমার প্রিমিয়ামে কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন, ইউলিপের ক্ষেত্রে বিমার অঙ্ক প্রিমিয়ামের অন্তত ১০ গুণ না-হলে ওই সুবিধা পাবেন না আপনি।

যখন প্রিমিয়াম জোগানো দায়
কষ্ট করেও অন্তত তিন বছর প্রিমিয়াম দিন। নইলে বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে জমা দেওয়া পুরো টাকা।
• এক বার তিন বছর প্রিমিয়াম দিয়ে দিতে পারলে কিন্তু হাতের সামনে অন্তত দু’টি বিকল্প খোলা পাবেন আপনি
(১) পলিসি পেড-আপ: তিন বছর পর প্রকল্প আর টানতে না-পারলে, পলিসি পেড-আপ করানোর রাস্তায় হাঁটতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম আর দিতে হবে না। কিন্তু তেমনই তোলা যাবে না আগে জমা দেওয়া টাকাও।
এই রাস্তা বেছে নিলে বিমার নতুন মূল্য (কভারেজের অঙ্ক) বা পেড-আপ ভ্যালু কত হবে, তার হিসাব মোটামুটি এ রকম:
(জমা দেওয়া প্রিমিয়ামের সংখ্যা/বাকি প্রিমিয়ামের সংখ্যা)X বিমার (কভারেজ) অঙ্ক}+জমা দেওয়া প্রিমিয়ামের বোনাস।
মেয়াদ ফুরোলে অন্যান্য বোনাস-সহ এই পেড-আপের অঙ্ক ফেরত পাবেন গ্রাহক। আর মেয়াদ পূর্তির আগেই তিনি মারা গেলে বোনাস সমেত পেড-আপ অঙ্ক হাতে পাবেন নমিনি।
(২) পলিসি সারেন্ডার: নাম থেকেই পরিষ্কার, এই পথ বাছা মানে বিমা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে প্রকল্পের টাকা নিয়ে বেরিয়ে আসা।
এ ক্ষেত্রে গ্রাহক কত টাকা পাবেন, তা হিসাব করতে গিয়ে প্রথমে তিনি কত দিন প্রিমিয়াম দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে ‘সারেন্ডার ভ্যালু ফ্যাক্টর’ হিসাব করে সংস্থা (অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য তা গোড়া থেকেই গ্যারান্টিড)। তার পর তাকে পেড-আপ ভ্যালু দিয়ে গুণ করে হিসাব কষা হয় পলিসির সারেন্ডার ভ্যালুর। পলিসি সারেন্ডার করলে, ওই পরিমাণ টাকা মিটিয়ে দিয়ে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করে দেবে সংস্থা।

মনে রাখবেন, পলিসি পেড-আপে পুরো মেয়াদ জুড়ে বিমার সুরক্ষা পান আপনি। কিন্তু পলিসি সারেন্ডারের ক্ষেত্রে তা হয় না। সেখানে সংস্থা টাকা মিটিয়ে দেওয়া মানে গ্রাহকের জীবনের ঝুঁকির দায় আর তাদের নয়।

ইউলিপ প্রকল্পে পেড-আপের সুবিধা নেই। ঠেকায় পড়লে সেখানে শুধুমাত্র পলিসি সারেন্ডার করতে পারেন আপনি।

পলিসি রেখে ঋণ
• এনডাওমেন্ট প্রকল্প থাকলে, তার পরিবর্তে সংস্থা থেকে ঋণ পাওয়া যাবে। তবে ইউলিপ কিংবা মানি-ব্যাক পলিসিতে (যেখানে মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই নির্দিষ্ট সময় পর-পর বিমার টাকার একটি অংশ কিস্তিতে ফেরত পাওয়া যায়) তা মেলে না।

• ঋণের অঙ্ক নির্ধারিত হয় সারেন্ডার ভ্যালুর ভিত্তিতে। সাধারণত ওই ভ্যালুর ৮০% পর্যন্ত ঋণ দেয় বিমা সংস্থাগুলি।

বন্ধ পলিসি চালুর চাবি
• শেষ যে দিন প্রিমিয়াম দেওয়ার কথা ছিল অথচ আপনি দেননি, তার থেকে ছ’মাসের মধ্যে বন্ধ পলিসি (Lapsed Policy) ফের চালু করতে চাইলে, ওই ছ’মাসের প্রিমিয়াম সুদ বা জরিমানা-সহ মিটিয়ে দিতে হবে।

• ছ’মাস পেরোলে অবশ্য গ্রাহকের ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফর্মে নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিজে তথ্য দিয়েই (সেল্ফ ডিক্লারেশন) পলিসি ফের চালু করা যায়।

• কিছু কিছু বন্ধ হওয়া পলিসি ২ বা ৩ বছর পরেও চালু করা যায়। তাই আপনি যে-প্রকল্প কিনছেন, তার ক্ষেত্রে কোন শর্তটি প্রযোজ্য, তা পলিসি কেনার সময়েই জেনে নিন।

বদলের সুযোগ
পলিসি-বন্ড হাতে পাওয়ার পরও চাইলে প্রকল্প বদলাতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে ১৫ দিনের মধ্যে তা ফেরত দিতে হবে। মর্টালিটি চার্জ বাবদ সামান্য কিছুটা বাদে জমা দেওয়া প্রিমিয়ামের পুরো টাকাই ফেরত পাবেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.