বেতন বৃদ্ধি ও বকেয়া বেতন-সহ কয়েক দফা দাবিতে সোমবার থেকে অনশন শুরু করেছেন হাবরা-১ ব্লকের মছলন্দপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অস্থায়ী মহিলা সাফাই কর্মীরা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল গেটের সামনে অনশনে বসেছেন ১৪ জন মহিলাকর্মী। তীব্র গরমে ৫ জন কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আন্দোলনকারী মহিলাদের দাবি, ২০০৯ সালের ফ্রেবুয়ারি মাস থেকে তাঁরা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দৈনিক ২৩ টাকা ৮০ পয়সায় কাজ করে আসছেন। আন্দোলনকারী রোকেয়া খাতুন বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা থেকে শুরু করে রোগীদের জামাকাপড় পরিষ্কার, সবই করি। অথচ প্রায় ৮ মাস ধরে আমরা বেতন পাচ্ছি না।” আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের সরকারি বেতন কাঠামোয় আনতে হবে। দিতে হবে পোশাক।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তত্কালীন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক একটি স্বনির্ভর সংস্থার মহিলাকর্মীদের মাসিক ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাফাইয়ের কাজে লাগান। প্রথমে ১৫ জন কাজে যোগ দিলেও পরে একজন কাজ ছেড়ে দেন। অনশন চললেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ব্লক স্বাস্থ্য দফতর থেকে কেউ তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেননি বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য অবশ্য দাবি করেন, “জেলার সহ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে পাঠানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
আরও চিকিৎসক নিয়োগ ও পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালে স্মারকলিপি দিল জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটি। কমিটির তরফে সোমনাথ কৈবর্তের অভিযোগ, “সব বিভাগেই চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের হেলদোল নেই। রোগী এলেই বাঁকুড়া বা পুরুলিয়ায় স্থানান্তর করে দেওয়াটা এখানকার দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে।” পুরোমাত্রায় ব্লাড ব্যাঙ্ক শুরু করা, রোগ নির্ণয়ের জন্য উন্নত ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। |