কোল ওয়াশারি থেকে নিয়মের অতিরিক্ত কয়লা ট্রাকে বের করে মাঝপথে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সাঁওতালডিহিতে বিসিসিএলের ভজুডি কোল ওয়াশারিতে তল্লাশি চালালেন গোয়েন্দারা।
সোমবার ও মঙ্গলবার দু’দিন ধরে ভজুডি কোল ওয়াশারির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালালেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কোল ওয়াশারির ওয়েব্রিজের (কোল ওয়াশারি থেকে শোধন করা কয়লা বাইরে পাঠানোর আগে যেখানে মাপা হয়) যন্ত্রপাতি তাঁরা সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত পরীক্ষা করে দেখেন। আটকে দেওয়া হয় ওই ওয়েব্রিজে আগে ওজন করা কয়লা বোঝাই ১৪টি ট্রাক। মঙ্গলবার স্থানীয় পাহাড়িগোড়ায় একটি বেসরকারি ওয়েব্রিজে ট্রাকগুলি নিয়ে গিয়ে ওজন পরীক্ষা করেন গোয়েন্দারা। ট্রাকগুলিতে নিয়মের অতিরিক্ত কয়লা তোলা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। ওই ওয়েব্রিজে সোমবার রাত থেকে কয়লা ওজন করা বন্ধ করে দেওয়া হয়। |
এ দিন ওয়াশারির কার্যালয়ে গিয়েও গোয়েন্দারা নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। রঘুনাথপুরের এসডপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে ১৪ জনের ওই দল সোমবার সন্ধ্যা থেকে দু’দিন ধরে ওই কোল ওয়াশারিতে তদন্ত চালায়।”
ভোজুডি কোল ওয়াশারির প্রকল্প আধিকারিক রাজেন্দ্রপ্রসাদ যাদব এ দিন বলেন, “দিল্লিতে সিবিআইয়ের কাছে এই কোল ওয়াশারির কয়লার মজুত সংক্রান্ত তথ্য-সহ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই সিবিআই-র একটি দল সোমবার রাত থেকে ওয়াশারিতে তদন্ত করেন। আমরা তাঁদের সহযোগিতা করেছি।”
ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন খনি থেকে আসা কয়লা এখানে শোধন করে বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র-সহ রাজ্যের কিছু ইস্পাত কারখানায় পাঠানো হয়। কিন্তু কয়লা পাঠানোর সময় ওজনে কারচুপি করে দুর্নীতি করা হয় বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। ওয়াশারির একটি সূত্রের খবর, কয়লা ওজন করার সময়ে.প্রতি ট্রাকে ১০ টন কয়লা পাঠানোর নিয়ম। কিন্তু তার বদলে অতিরিক্ত ৩-৪ টন কয়লা ট্রাকে তোলা হয়। তার পরে মাঝ পথে তা পাচার করে দেওয়া হয়। ওই ওয়েব্রিজটি দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। মঙ্গলবার সকালে ওই সংস্থার দুই কর্মীকে ওয়াশারিতে ডেকে পাঠানো হয়। এ দিন সকালে ভোজুডি কোল ওয়াশারিতে আসেন বিসিসিএলের সুদামডি জোনের জেনারেল ম্যানেজার এম এন সিংহ। তাঁর উপস্থিতিতেই তদন্ত করে সিবিআই। |