হাতি তাড়ানো শুরু বাঁকুড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • সোনামুখী |
বনকর্মীদের সাঁড়াশি অভিযানের ঠেলায় বড়জোড়া থেকে পাত্রসায়র পর্যন্ত এগোল দলমার হাতির পাল। মাস তিনেক বন্ধ রাখার পরে ফের সোমবার থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার সোনামুখীর রেঞ্জ অফিসার মোহন শীট জানিয়েছেন, পিছন থেকে তিন দিক দিয়ে হাতির দলটিকে ঘিরে এক রাতেই বড়জোড়া থেকে পাত্রসায়রের বীরসিংহ গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া গিয়েছে। এ দিন রাতে দলটিকে বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ১০০টি হাতি দু’টি দলে ভাগ হয়ে রয়েছে। তাদের তাড়াতে বাঁকুড়া জেলার চারটি রেঞ্জের প্রায় ১২০ জন হুলা কর্মীকে নামানো হয়েছে।
|
ভেড়ার পরিত্রাতা ক্যামেরন
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
থকথকে বরফ কাদায় ক্রমশই পা ডুবে যাচ্ছিল। বাঁচার আর কোনও উপায় না দেখে তারস্বরে চিৎকার জুড়েছিল ভেড়াটি। ঠিক তখনই পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটা গাড়ি। ভেড়ার ডাক শুনে গাড়ি থামিয়ে নেমে আসেন গাড়ির মালিক। সঙ্গে দু’জন দেহরক্ষী। এ দিকে গাড়ির মালিককে দেখে ভেড়া উদ্ধার মাথায় ওঠে ভেড়াটির মালিকের। কারণ পরিত্রাতা আর কেউ নন, স্বয়ং ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সোমবার অক্সফোর্ডশ্যায়ারের ঘটনা। ক্যামেরন কিন্তু কোনও দিকে না তাকিয়ে সোজাসুজি জামা-প্যান্ট গুটিয়ে কাদায় নেমে পড়েন। অবশেষে ভেড়ার মালিক, ক্যামেরন ও তাঁর দুই দেহরক্ষীর চেষ্টায় উদ্ধার হয় ভেড়াটি। পরে ওই ভেড়ার মালিক সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ৩০ মিনিট তাঁর বাগান বাড়িতে সময় কাটিয়ে যান ক্যামেরন। এর আগে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে পথ হারিয়ে ফেলা একটা ভেড়াকে উদ্ধার করেন ক্যামেরন।
|
ডুয়ার্সে আনা হল হস্তি শাবককে |
ঝাড়গ্রাম থেকে জলদাপাড়ায়। হলং পিলখানায় মঙ্গলবারের তেলা নিজস্ব চিত্র। |
ঝাড়গ্রাম থেকে মঙ্গলবার দুটি হস্তি শাবককে ডুয়ার্সে আনা হল। দুটির মধ্যে পুরুষ শাবকটি গরুমারায় পাঠানো হয়েছে। স্ত্রী শাবকটি জলদাপাড়ায়। উত্তরবঙ্গের বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিপিন কুমার সুদ জানান, ঝাড়গ্রামে হাতি শাবকগুলিকে উদ্ধার হয়। বন বিভাগের চিকিৎসক অশোক সিংহ বলেন, “যাতায়াতের ধকলের জন্য দুটি শাবক ভয়ে আছে। খাবার ঠিকমত না খেলেও পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে।” গরুমারার নয়া অতিথিকে আপাতত গরাতি বিটে পিলখানায় রাখা হয়েছে। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের কুনকি হাতির সংখ্যা বেড়ে দাড়াল ১৬। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে গরুমারায় অক্টোবর মাসে জন্ম হয় একটি স্ত্রী শাবকের। ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী তার নামকরণ করেন বর্ষণ। বর্ষণও প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি হয়েছে। একটি শাবক আসায় বর্ষণ সঙ্গী পাবে বলে বনকর্মীদের মত। |