সিঙ্গুরে শিল্পের দাবিতে ৪০ হাজার মানুষের স্বাক্ষর সংবলিত একটি স্মারকলিপি মঙ্গলবার রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের কাছে জমা দিল হুগলি জেলা বামফ্রন্ট। সিঙ্গুরে জমি-জট কাটাতে আদালতের বাইরে মীমাংসার দাবি তুলেছেন বাম নেতারা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “রাজ্যপাল আমাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তাঁকে অনুরোধ করেছি, প্রয়োজনে তিনি যেন সরাসরি সিঙ্গুরে এসে পরিস্থিতি দেখে যান।” জেলা বামফ্রন্টের তরফে ওই স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, অনিচ্ছুক চাষিদের জমির পরিমাণ ৬৭ একরের বেশি নয়। সে ক্ষেত্রে যাঁরা চাইবেন, তাঁদের জমি যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের আরও দাবি, সিঙ্গুরের মানুষের পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ। ‘অনিচ্ছুক’ চাষিদের অনেকে এখন জমির দাম নিয়ে নিতে চাইছেন। বামফ্রন্টের আরও দাবি, সরকারি সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক’ ভেদাভেদ করা চলবে না। কারণ, যে সমস্ত ‘ইচ্ছুক’ চাষি এক সময়ে জমি দিয়েছিলেন, তাঁদেরও প্রত্যাশা মেটেনি।
|
প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে উলুবেড়িয়া বীণাপানি প্রাথমিক স্কুলে। জখম নার্গিস খাতুনের চিকিৎসা করানো হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। শিসবেড়িয়ার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর মা রুবিয়া বেগম বলেন, “আমার মেয়ে পাশের এক জনের খাতা দেখে লিখছিল বলে অভিযোগ তোলেন ওই শিক্ষিকা। শাস্তি দিতে মেয়েকে লাঠিপেটা করেন। চোখে ও শরীরের নানা জায়গায় চোট লাগে। ঘটনাটি প্রথম পিরিয়ডে ঘটলেও ছুটির পরে বাড়ি ফিরে মেয়ে সে কথা জানায়।” উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নার্গিসের চিকিৎসা হয়েছে বলে জানান রুবিয়া। অভিযুক্ত শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রধান শিক্ষক মহম্মদ জাহাঙ্গির বলেন, “ওই শিক্ষিকা ছাত্রীটিকে লাঠি নিয়ে ভয় দেখাতে গিয়েছিলেন। ছাত্রীটি আচমকা মাথা নিচু করে ফেলায় তার চোখের কোণে আঘাত লাগে। ওই শিক্ষিকার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি অনুতপ্ত।”
|
হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় শত কোটি টাকা গায়েব হয়েছে আগেই। এ বার সেই ব্যাঙ্কের চাবিও উধাও। চাবিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে জানান রাজ্যের সমবায় দফতরের যুগ্ম রেজিস্ট্রার। এ কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায়। ওই সমবায়ের প্রায় ১০০ কোটি টাকা লোপাটের পরে হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার ব্যাঙ্কটি পুলিশি পাহারায় রেখেছেন। যাতে ব্যাঙ্কের কোনও কর্তা বা অন্য কেউ সেখানে ঢুকতে না-পারেন। ব্যাঙ্কের চাবি খুঁজে না-পাওয়ার কথা জানার পরেই গ্রাহক-আবেদনকারীদের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিচারপতিকে বলেন, তিনি আগেই হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, সমবায় দফতর এবং ওই ব্যাঙ্কের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে টাকা সরানো হয়েছে। চাবি না-পাওয়ায় সেটাই প্রমাণিত। বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে চাবি খুঁজে বার করার দায়িত্ব দেন। বিচারপতি বলেন, গরিব ও নিম্নবিত্তদের সঞ্চয়ের টাকা তছরুপের বিষয়টি হাইকোর্ট মেনে নেবে না। তিনি রাজ্যের শিল্পসচিব চঞ্চলমল বাচোয়াতকে বিশেষ অফিসার নিয়োগ করে ব্যাঙ্কটির পুনরুজ্জীবনের দায়িত্ব দিতে চান। বিচারপতি এই ব্যাপারে সুব্রতবাবুকে শিল্পসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
|