|
|
|
|
টু-জিতে সাক্ষ্যের দাবিতে যশবন্তের চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
টু-জি কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ক্রমেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে কংগ্রেস যখন দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগ ঝেড়ে ফেলে সরকারের সাফল্যের দিকে মানুষের নজর টানতে তৎপর, তখনও টু-জি দুর্নীতি পিছু ছাড়ছে না তাদের।
বিজেপি-সহ বিরোধীদের চাপেই মনমোহন সরকার টু-জি কেলেঙ্কারির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গড়েছিল। কিন্তু ভোট মরসুমে জেপিসি-র পাট চোকাতে এখন তড়িঘড়ি রিপোর্ট পেশ করতে চাইছেন কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেস সাংসদ পি সি চাকো। কিন্তু বিজেপির যশবন্ত সিন্হা কংগ্রেসের এই কৌশল ভেস্তে দিতে ঘনঘন মুখ খুলছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। আজ খোদ প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখে তা প্রাকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। চিঠিতে যশবন্তের বক্তব্য, যদি সত্য লুকোনোর কিছু না থাকে, তবে জেপিসি-র সামনে আসতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের আপত্তি কোথায়? কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমেরও এখন কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেওয়া উচিত। আর প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা যখন কমিটির সামনে আসার আগ্রহ প্রকাশ করছেন, তাঁকে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে!
কংগ্রেস শিবিরে আশঙ্কা, রাজা কমিটির সামনে এলে বিরোধী সাংসদরা তাঁকে জেরা করবেন। তাতে এমন তথ্যও বেরিয়ে আসতে পারে যে টু-জি নীতি রূপায়ণের খবর জানতেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। যে বিষয়টি বারবার অস্বীকার করে এসেছেন মনমোহন। ভোটের মুখে এই অস্বস্তির ঝুঁকি নিতে পারে না কংগ্রেস। সে কারণে জেপিসি-র চেয়ারম্যান চাকো আজ যশবন্তের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ কেন, যে কোনও মন্ত্রীকে ডাকতে হলেই জেপিসি-তে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ করাতে হবে। তার পরেই তা স্পিকারের কাছে পাঠানো হবে। তিনিই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এখন যশবন্তের কোনও এক্তিয়ার নেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার। তাঁর এই চিঠির কোনও প্রাসঙ্গিকতাও নেই। এখন তাঁর চিঠি লেখা নিছক রাজনৈতিক চমক।” যশবন্তের পাল্টা যুক্তি, “এর আগে তো প্রধানমন্ত্রী নিজেই টু-জি দুর্নীতির তদন্তের জন্য পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র সামনে আসতে রাজি হয়েছিলেন। এখন জেপিসি-র চেয়ারম্যান কেন প্রধানমন্ত্রীকে আড়াল করতে চাইছেন?” চাকোর বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী পিএসি-র সামনে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু পিএসি কেন তাঁকে ডাকেনি? পিএসি-র চেয়ারম্যান তো বিজেপি-রই নেতা মুরলীমনোহর জোশী!” বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, এখন ভোট এগিয়ে আসছে। টু-জি নিয়ে বিতর্ক এখন
যত বাড়বে, ততই কংগ্রেসের দুর্নীতির ছবিটা স্পষ্ট হবে মানুষের কাছে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর উপযুক্ত সময় বলে মনে করছে বিজেপি। |
|
|
|
|
|