দিল্লিতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতায় মোদীর সঙ্গে দেখা হবে না মমতার
কে বলা যেতে পারে এক ধরনের রাজনৈতিক লুকোচুরি।
আগামী ৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার কলকাতা আসছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার ঠিক আগের দিন দিল্লি পাড়ি দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ তারিখ দিল্লিতে রাজ্যের যোজনা বরাদ্দ চূড়ান্ত করা নিয়ে যোজনা কমিশনের সঙ্গে বৈঠক মমতার। ফলে দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রীর দেখাসাক্ষাৎ হচ্ছে না কলকাতায়। গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, মমতার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময়ও চাননি মোদী। ঘনিষ্ঠ মহলে মোদী বলেছেন, “মমতার পক্ষে এখন আমার সঙ্গে দেখা করা সম্ভব নয়। মমতার সমস্যা আমি বুঝি। আমি যদি অনুরোধ করতাম আর তিনি প্রত্যাখ্যান করতেন, সেটা আরও বিড়ম্বনার কারণ হতো।”
এর আগে তৃতীয় বার গুজরাত জয়ের পর গাঁধীনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য মমতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু মমতা রাজি হননি। তার পর তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয় গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু গুজরাত দাঙ্গার পর থেকে মোদীর গায়ে সাম্প্রদায়িক তকমা লেগে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের ২৯ শতাংশ সংখ্যালঘু। যার বড় অংশ তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। মমতা তাই মোদীর সেই প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করে দেন।
কিন্তু বিজেপি যখন মোদীকে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনে যেতে চাইছে, তখন বিভিন্ন দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠাই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য। শরিক নীতীশ কুমার এমনিতেই মোদীর নামে ‘না’ বলে বসে রয়েছেন। ফলে মোদীও এখন সতর্ক পদক্ষেপ করতে চাইছেন। তাই কলকাতায় এসে নিজের উন্নয়নের মডেল তুলে ধরলেও মমতার সরকারের বিরুদ্ধে মোদী কোনও নেতিবাচক মন্তব্য করতে চান না বলেই গুজরাত প্রশাসন সূত্রের খবর। মমতাকে কোনও কটাক্ষও তিনি করতে চান না। আবার মমতাও জানেন, মোদী শহরে এলে তাঁর সঙ্গে দেখা না-করাটা অসৌজন্য হবে। সুতরাং দিল্লিতে যোজনা কমিশনের বৈঠকটি আসলে তাঁর পক্ষে শাপে বরই হয়েছে। দিল্লিতে এসে তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রতি অর্থনৈতিক অবরোধ, বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হবেন। আর মোদীও কলকাতায় ধর্মনিরপেক্ষ ভদ্রলোক বাঙালি, নবজাগরণ করা বাঙালি, এত দিন কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে থাকা বাঙালির কাছে নিজের উন্নয়নের মডেল মেলে ধরবেন।
এক দিনের কলকাতা সফরে বণিকসভা আয়োজিত এক সম্মেলনে বক্তৃতা দেবেন মোদী। সে দিন নেতাজি ইন্ডোরে মোদীকে সংবর্ধনা দিতে চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও ইন্ডোরে সভা করার অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাহুল সিংহ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থা আগে থেকেই সে দিনের জন্য ইন্ডোর স্টেডিয়াম ভাড়া নিয়ে রেখেছে। অগত্যা এখন মহাজাতি সদনে দলীয় কর্মীদের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাজ্য বিজেপি।
১৯৮৯ সালে কলকাতায় এসএফআই পরিচালিত এক সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর দৌড় শুরু করেছিলেন বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ। বিজেপি-র সংসদীয় বোর্ডে সামিল হওয়ার পরে মোদী যখন গোটা দেশে প্রচারাভিযান শুরু করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে এগিয়ে রাখতে চাইছেন, তখন তিনিও সেই যাত্রা শুরু করছেন কলকাতা থেকেই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.