মিড-ডে মিলের জন্য আর থালা নিয়ে স্কুলে যেতে হবে না রঘুনাথপুর ২ ব্লকের পড়ুয়াদের। এ বার থেকে স্কুলেই মিলবে থালা। বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে নিজের নির্বাচনী এলাকা রঘুনাথপুর ২ ব্লকের প্রাথমিক স্কুলগুলির পড়ুয়াদের জন্য থালার ব্যবস্থা করলেন পুরুলিয়ার পাড়া কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক উমাপদ বাউরি। সোমবার ব্লকের ‘স্বর্ণজয়ন্তী গ্রামীণ স্বরোজগার যোজনা’র প্রশিক্ষণ ভবনে ওই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বিধায়ক। ছিলেন বিডিও উৎপল ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনীষা ঘোষ এবং রঘুনাথপুর ২ চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক সুমিতা চৌধুরী।
নিজেদের নির্বাচনী এলাকার আওতায় থাকা ব্লকগুলির সব প্রাথমিক স্কুলে মিড-ডে মিলের থালা দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছে জেলা কংগ্রেস। পুরুলিয়ায় দলের দু’জন বিধায়ক রয়েছেন। এর আগে দলের জেলা সভাপতি তথা বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো বাঘমুণ্ডি ও ঝালদায় ওই প্রকল্প শুরু করেছেন। এ বার করলেন উমাপদবাবু। পরের ধাপে পাড়া ব্লকেও এই প্রকল্প শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
তাঁর কথায়, “শিক্ষকতা করার সময়ে দেখেছি, মিড-ডে মিলের সময়ে পড়ুয়াদের ব্যাগের সঙ্গে হাতে থালা নিয়ে স্কুলে আসতে সমস্যা হয়। আবার খাবার সময় অনেকেই বাড়ি গিয়ে থালা নিয়ে আসায় সময় নষ্ট হয়। গরিব পরিবারের বহু ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়ার ফলে একটি থালাতেই ভাগাভাগি করে দুপুরের খাবার খায়। এই ধরনের সমস্যা এড়াতেই স্কুলে থালা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” গরিব ঘরের অনেক পড়ুয়া অ্যালুমিনিয়ামের থালা নিয়ে এলেও তুলনামূলক স্বচ্ছল পড়ুয়ারা স্টিলের থালা নিয়ে স্কুলে আসে। বিধায়ক বলেন, “থালা নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে একটা বিভাজন তৈরি হয়। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পড়ুয়াদের মনে। এটা কাম্য নয়।” এ দিন ব্লকের ৯৯টি প্রাথমিক স্কুলে ৯ হাজার স্টিলের থালা দেওয়া হয়েছে বিধায়ক তহবিল থেকে। স্কুলে থালাগুলি রাখে বড় বাক্সও দেওয়া হয়েছে। বিডিও বলেন “এই প্রকল্পের ফলে স্কুলে সুষ্ঠুভাবে মিড-ডে মিল পরিচালনা করতে সুবিধা পাবেন শিক্ষকেরা।” |