|
|
|
|
নন্দীগ্রাম-কাণ্ড |
রাজ্যকে বাঁচিয়ে শুভেন্দুর দোষারোপ কংগ্রেসকেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রত্যাশিত ভাবেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। কিন্তু সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কাজে তাঁর নিজের
দলের পরিচালিত রাজ্য সরকারের দায়! বরং সিবিআইকে দোষারোপ করতে গিয়ে কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারকেও কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’র তরফে সোমবার শুভেন্দুর ঘোষণা, গণহত্যা ও গণধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ-কর্তা এবং সিপিএমের নেতা-কর্মীদের শাস্তির দাবিতে তাঁরা গণতান্ত্রিক ও আইনি লড়াই নতুন করে শুরু করবেন। নন্দীগ্রামে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ গুলি চালনার ঘটনায় তিন জন বাদে আর কোনও পুলিশ-কর্তার নাম সিবিআই চার্জশিটে রাখেনি। পায়ে হাওয়াই চপ্পল-সহ পুলিশের উর্দি পরে সিপিএমের যে নেতা-কর্মীরা সে দিন নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলেন বলে কমিটির অভিযোগ, তাদের ব্যাপারেও সিবিআই কোনও রিপোর্ট দেয়নি।
এই ‘নিষ্ক্রিয়তা’র প্রতিবাদেই নন্দীগ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে নিয়ে আগামী ৮ এপ্রিল বিধাননগরে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরের সামনে ধর্না-অবস্থান করবে কমিটি। হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে যে আইনজীবীরা সেই সময় আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও ফের যোগাযোগ করছে তারা।
সিবিআই চার্জশিটে সব অভিযুক্ত অফিসারকে চিহ্নিত না-করলেও তত্কালীন বিরোধী নেত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তো সবই জানা ছিল! তাঁর জমানায় সেই অফিসারেরা স্বমহিমায় বহাল থাকায় নন্দীগ্রামের মানুষ কি ব্যথিত?
শুভেন্দুর কৌশলী জবাব, “সরকার একটা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে চলে। যাঁরা সরকার চালাচ্ছেন, তাঁরা বলতে পারবেন! সিবিআইয়ের চার্জশিটের অপেক্ষায় আছি। যে অফিসার যে পদেই থাকুন, সিবিআই চিহ্নিত করার পরে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আমরা আশাবাদী।” ইউপিএ-১ সরকারকে ৬১ জন বাম সাংসদ সমর্থন দিয়ে টিকিয়ে রেখেছিলেন বলেই নন্দীগ্রামের তদন্তে সিবিআইয়ের ইতিবাচক ভূমিকা দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তমলুকের সাংসদ।
যার জবাবে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান পাল্টা বলেছেন, “শুভেন্দুর দাবি ঠিক, লক্ষ্যটা ভুল! তাঁর মূল্য লক্ষ্য হওয়া উচিত রাজ্য সরকার। কারণ, তাঁর দলের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই অভিযুক্ত অফিসারদের পুরস্কৃত করছেন! ওই সব অফিসারদের প্রাইজ পোস্টিং কেন্দ্র তো দেয়নি!” |
|
|
|
|
|