|
|
|
|
টুকরো খবর |
গমের হিসেব চেয়ে তালা পঞ্চায়েতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সরকারের বরাদ্দ গম গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করা হয়নি। এই অভিযোগ তুলে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিল তৃণমূল। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে খড়্গপুর ১ ব্লকের অন্তর্গত ভেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। তৃণমূলের তরফে বিডিও সুভেশ বেরার কাছে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন বিডিও। বিডিওর অনুরোধে তালাও খোলা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম পাল বলেন, “চার বছর ধরে জিআরের গম বিলি না করে আত্মসাত্ করা হয়েছে। আমরা যখনই জানতে যেতাম গম এসেছে কি না, বলা হত জিআরের গম আসেনি। পরে জানি মিথ্যে বলা হচ্ছে।” আগে ভেটিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন সিপিএমের মদন হাঁসদা। তাঁর বিরুদ্ধে স্কুলের উন্নয়নে অর্থ তছরুপের অভিযোগ ওঠে। ওই প্রধানকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তাঁকে প্রধানের পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। এরপর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে এই প্রধান হন সিপিএমের সমীর পান। উপপ্রধান তৃণমূলের ঊষা মুর্মু। তৃণমূলের অভিযোগ, এই সময়ের মধ্যে পঞ্চায়েতে সব মিলিয়ে ৩০৫ কুইন্টাল ২৮ কেজি গম বরাদ্দ বরাদ্দ হয়েছে। অথচ, তা গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করা হয়নি। পঞ্চায়েত প্রধান সমীরবাবুর বক্তব্য, স্থানীয় ডিলার জানান, গম নেই। তিনিও বিষয়টি বিডিওকে জানান। প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ডিলারের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। জানতে চাওয়া হবে, জিআরের বরাদ্দ গম গেল কোথায়। পঞ্চায়েত থেকে মাস্টার রোলও চেয়ে পাঠানো হবে। বিডিওর বক্তব্য, “পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছিল। জানতে পেরেই তালা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
সেই কাউন্সিলরকে বহিষ্কারের সুপারিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
আর সময় দেওয়া নয়। ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলর তৈমুর আলির খানকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করলেন স্থানীয় সিপিআই নেতৃত্ব।
সোমবার দলের খড়্গপুর শহর লোকাল কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তের কথা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “ওই কাউন্সিলরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। জেলা স্তরে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।” তৈমুর অবশ্য বলেন, “এ নিয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আগে জানানো হোক। তারপর যা বলার বলব।” রেলশহরের সিপিআই নেতৃত্বের আশা, তাঁদের সুপারিশই জেলায় গ্রহণ করা হবে। রবিবারই পদত্যাগপত্র জমা দেন তৈমুর। তিনি দলের খড়্গপুর শহর লোকাল কমিটির সদস্য। আগে দল তাঁকে শো-কজ করেছিল। জবাবে তাঁর বক্তব্য ছিল, পুরপ্রধান পদে তৃণমূলের কাউন্সিলরকে সমর্থন করতে চেয়ে তিনি যে চিঠি দিয়েছেন, তা দলের শাখা কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে। ফলে, তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ আনা যায় না। সিপিআই নেতৃত্ব অবশ্য এমন সওয়ালকে গুরুত্ব দেননি। শেষমেশ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত।
|
পুরসভার পদ থেকে ইস্তফা
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
চন্দ্রকোনা পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত জল ও বিদ্যুত্ দফতরের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন গোবিন্দ দাস। গত ২০১১ সালের ১ জুলাই থেকে চন্দ্রকোনা পুরসভার নির্দল (বেকার সমিতি) কাউন্সিলার গোবিন্দ বাবু ওই পদের দায়িত্বে ছিলেন। সোমবার তিনি পদত্যাগ করে বলেন, “আমাকে দীর্ঘদিন ধরে না জানিয়েই বর্তমান বোর্ড, জল ও বিদ্যুত্ দফতরের সমস্ত কাজকর্ম করছিল। পদে থেকেও কাজ করতে না দেওয়া এবং যোগ্য সম্মান না পাওয়ায় আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।” এ দিকে তৃণমূল পরিচালিত ওই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিত ভাণ্ডারি বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু কেন পদত্যাগ করলেন তা বুঝতে পারলাম না।” |
|
|
|
|
|