প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়া থেকে এক টেবিলে ১২ জনকে বসিয়ে পরীক্ষা, এমন নানা অভিযোগ উঠল রবিবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায়। প্রশ্ন সময়ে না পৌঁছনোর জন্য, কোথাও কম থাকার জন্য নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু করা যায়নি। পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে মালদহ জেলা জুড়ে মোটা টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের জাল প্রশ্নপত্র বিক্রি হিড়িক শুরু হওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন বিক্রির সঙ্গে যুক্ত দালালদের ধরতে পুলিশ সুপার জেলার সমস্ত থানার আইসি, ওসিদের নির্দেশ দিয়েও কাউকে ধরতে পারেনি। জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, ‘‘জাল প্রশ্ন বিক্রির খবর পেয়েই জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি দেখে অভিযুক্তদের ধরতে বলা হয়েছে।” জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “জাল প্রশ্নপত্র পেয়েছি। যারা বিক্রি করছিল তাদের ধরতে থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |
প্রশ্নপত্র কম থাকায় নির্ধারিত সময়ে মালদহ কলেজে, জলপাইগুড়ির ৩টি কেন্দ্রে সময় মতো পরীক্ষা শুরু করা যায়নি। তাতে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। মালদহে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে ত়ড়িঘড়ি প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে ১৫ মিনিট দেরিতে পরীক্ষা শুরু হয়। দেরিতে পরীক্ষা শুরুর জন্য পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেওয়ার কথা জানানো হয়। জলপাইগুড়ি শহরের দুটি স্কুলে প্রশ্নপত্র দেরিতে পৌঁছনোর জন্য পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখান। জলপাইগুড়ির সোনালি গার্লস স্কুলে ৭৮ জন অতিরিক্ত পরিক্ষার্থী নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। ৪০০ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়ে যায়। অতিরিক্ত পরীক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এখানেও পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। ৭৮ জনের পরীক্ষা বেলা ১টায় দেড়টায় শুরু হয়। |