যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না-নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। অসুস্থ রোগী শিলিগুড়ির শান্তিনগরের বাসিন্দা প্রণব সরকার। পরিবারের অভিযোগ, এ দিন রাত ১১ টা নাগাদ পেটের ব্যাথায় কাতরাতে থাকা প্রণববাবুকে নিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন এবং পরিচিতেরা। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসক ভর্তির জন্য ওয়ার্ডে পাঠান। অথচ জায়গা নেই বলে কর্তব্যরত নার্সরা ভর্তি নিতে রাজি না হওয়ায় রোগীকে নার্সিংহোমে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নার্সদের বিরুদ্ধে রোগীর লোকদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। রোগীকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনও অভিযোগ জানাতে না পারলেও শীঘ্রই তাঁরা হাসপাতাল সুপার এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলেছেন।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সঞ্জীব মজুমদার বলেন, “এই ধরনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। এখনও এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”
পরিবার সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত ১১ টা নাগাদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রণববাবুকে দেখেন। তিনি এমএম-১ ওয়ার্ডে ভর্তির পরামর্শ দেন। রোগীর সঙ্গে থাকা অভিষেক দে জানান, রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে ওই ওয়ার্ডে গেলে কর্তব্যরত নার্স জানান, শয্যা না-থাকায় এই ওয়ার্ডে ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি পাশের ওয়ার্ডে যেতে পরামর্শ দেন। সেই মতো পাশের সাধারণ ওয়ার্ডে গেলে সেখানকার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, যেই ওয়ার্ডে ভর্তির জন্য পাঠানো হয়েছে সেখানেই যেতে হবে। অথচ সাধারণ ওয়ার্ডে কয়েকটি শয্যা খালি ছিল। তা নিয়ে বলা হলেও কাজ হয়নি। ফের আগের ওয়ার্ডে রোগীকে নিয়ে গেলে নার্সরা বিরক্তি প্রকাশ করেন। রোগীর পরিস্থিতি খারাপ দেখে পরিবারের লোকেরা এর পর আর হাসপাতালে দেরি করেননি। তাঁকে হাকিমপাড়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। ফের নার্সদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় বিব্রত কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভ এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সরকারি হাসপাতালে যেতে বাসিন্দারা ভরসা পাবেন না। |