পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছে গাড়ি উল্টে জখম হলেন এক পরীক্ষার্থী। রবিবার পুঞ্চার লাখরা গ্রামের ঘটনা। বাণেশ্বর মুখোপাধ্যায় নামের ওই পরীক্ষার্থীর বাড়ি রঘুনাথপুরে। তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পরীক্ষায় তিনি বসতে পারেননি। মাথায় ও বুকে চোট পাওয়ায় তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
|
পুরুলিয়া জে কে কলেজের বিকল্প পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে তখন পরীক্ষা চলছিল। বাইরে শুকনো মুখে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েকজন তরুণ-তরুণী। নানা বিভ্রাটের জেরে তাঁরা শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় এ বার বসতে পারলেন না। তাঁদেরই এক জন হুড়ার কলাবনি গ্রামের যুবক সুনির্মল মণ্ডলের অভিযোগ, “ওয়েবসাইটে দেখেছিলাম আমার আসন পড়েছে জয়পুরের আরবিবি হাইস্কুলে। এ দিন সেখানে গিয়ে জানতে পারি আদ্রার একটি স্কুলে আসন পড়েছে। শেষে এই বিকল্প পরীক্ষাকেন্দ্রে দৌড়ে আসি। অনুমতি না থাকায় এখানেও পরীক্ষা দেওয়া গেল না।’’
|
১০ দিনের মেয়েকে কোলে নিয়ে ফুলকুসমার নিত্যবালা বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন গঙ্গাজলঘাটির খাটা গ্রামের স্বাগতা সার্বভৌম। তবে মেয়েকে কোলে নিয়ে পরীক্ষায় বসতে হয়নি। তাঁর মেয়েকে নিয়ে স্কুলের গাছতলায় বসেছিলেন শাশুড়ি। পরীক্ষা শেষে হাসিমুখে স্বাগতা বললেন, “ভাগ্যিস শাশুড়ি ছিলেন। তাই আমি নিশ্চিন্ত মনে এই চাকরির পরীক্ষা দিতে পারলাম।”
|
পরীক্ষা কেন্দ্রে থানার নাম বিভ্রাটের জেরে ৪০ কিলোমিটার পথ ঘোরাঘুরি করে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসতে না পারায় এক পরীক্ষার্থী অচৈতন্য হয়ে পড়লেন। পুরুলিয়া মফস্সল থানার সুন্দরাডি গ্রামের ওই পরাক্ষার্থী পরমানন্দ মাহাতোকে রঘুনাথপুর হাসপাতালে ও পরে পুরুলিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেলে তাঁর জ্ঞান ফেরে। তাঁর আসন পড়েছিল রঘুনাথপুরের গগড়া হাইস্কুলে। কিন্তু ওয়েবসাইটে স্কুলটি সাঁওতালডিহি থানায় দেখানো ছিল। সাঁওতালডিহিতে যাওয়ার পরেই তিনি ভুল বুঝতে পারেন। এক ব্যক্তি মোটরবাইকে গগড়া হাইস্কুলে পৌঁছে দিলেও অ্যাডমিট কার্ডের ফটোকপি থাকায় পরীক্ষায় বসতে পারেননি। এর পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। |
ছবিগুলি তুলেছেন উমাকান্ত ধর ও শুভ্র মিত্র। |