সম্পাদক সমীপেষু...
রক্তকরবী ও মাস মুভমেন্ট
রক্তকরবী: বহুরূপী ও রবীন্দ্রনাথ শিরোনামে (আ বা প ৫-৩) অমর্ত্য সেনের নিবন্ধ এবং শিবব্রত চট্টোপাধ্যায়ের রক্তকরবী এবং রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গে চিঠির (১৪-৩) পরিপ্রেক্ষিতে জানাই, রবীন্দ্রনাথ পাণ্ডুলিপি স্তরেই রক্তকরবীতে মাস মুভমেন্টের প্রসঙ্গ এনেছিলেন। রক্তকরবীর ইংরেজি অনুবাদ Red Oleanders-এও এই প্রসঙ্গ পাণ্ডুলিপি স্তর থেকে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে। বিশু, যে কিনা ‘৬৯ঙ’ (অনুবাদে 69Ng), সে তার পৌরুষ দেখিয়ে দশ-পঁচিশের ছক ভেঙে বলতে চেয়েছে ‘আচ্ছা, আমিও সর্দার হব, দেখে নিও’, কিন্তু সর্দার না হয়ে, সে আন্দোলনকারী হয়। অনূদিত নাটকটিতে Our workmen have broken into the prison. There they are, running off to fight, তার পর নন্দিনীকে খুঁজতে গিয়ে সে রঞ্জনের সঙ্গে নন্দিনীর red marriage tie লক্ষ্য করে এবং ফাগুলাল বলে ওঠে, They are united যে বাক্যটি মূল নাটকে বর্জিত বরং বলে ‘নন্দিনীর জয়’।
এই ‘They’ শব্দটি কি নন্দিনী ও রঞ্জনকে বোঝাচ্ছে না, সমস্ত বন্দিশালা ভেঙে আসা ‘mass’-কে বোঝাচ্ছে?
শম্ভু মিত্র লিখেছিলেন, নাটক অভিনয়ের সময় কলাশিল্পীদের ‘অনুভবের তীব্র সচেতনতা দিয়ে একাগ্র মনোযোগ দিয়ে, সমগ্রটির কল্পনা করতে হয়’, অনেকগুলো স্তর পেরিয়ে, নাড়া দিয়ে তবেই সেই কল্পনাতে অভিনেতাকে ঋদ্ধ হতে হয়, লিখেছেন, ‘‘রক্তকরবীর মানুষগুলোও বিমূর্ত নয়। ওগুলো খুব জ্যান্ত জীবন্ত মানুষ।’’ সেই জীবন্ত মানুষ বিশু ‘মাস মুভমেন্ট’ জাগিয়ে তুলে ‘একলা মহাযাত্রা’র গান গাইতে চলে গেল। আর রক্তকরবী-র থিম সং ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে, আয় রে চলে আয়, আয়’ দিয়ে নাটকটির সমাপ্তি, এ দিকে একটু নজর ফেরাতে চাই এটি আসলে জনগণেশকে নবান্নের উজ্জ্বল ফসলের দিকে, জীবনের দিকে ফিরে আসার আহ্বান। এটিও তো ‘mass movement’ জাগানো, তাই না?
শেষ উত্তর=৭০
শঙ্করলাল ভট্টাচার্যের ‘সাড়ে চুয়াত্তর=৬০’ (২-৩) পড়ে মনে পড়ল আর একটি বিখ্যাত ছবির এ বছরে ৭০ বছর পূর্তি হল। সেটি প্রমথেশ বড়ুয়া নির্দেশিত প্রমথেশ/কানন জুটির ‘শেষ উত্তর’। সেই গান তো এখন কিংবদন্তি: ‘ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে...।’
লোগোর স্রষ্টা কে?
১৭ মার্চ ২০১৩ প্রেসিডেন্সি কলেজের পুরনো লোগোর পরিবর্তে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন লোগোর আত্মপ্রকাশ, সঙ্গে মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসুর নতুন লোগোর অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা, উপাচার্য মালবিকা সরকারের কথায় লোগোয় ব্যবহৃত রঙের পশ্চাদপট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য জানা গেল (‘লোগোর রং নীল-সাদা’, ১৮-৩) কিন্তু জানা গেল না, যিনি এই লোগো তৈরি করেছেন তাঁর নাম। অন্য এক পত্রিকা থেকে জানা গেল, তাঁর নাম সব্যসাচী দত্ত।
মনে পড়ে, আপনাদের পত্রিকায় কয়েক মাস আগে প্রেসিডেন্সির একটি পুরনো লোগোর ছবি ছাপা হয়েছিল। সেখানেও ওই লোগোর স্রষ্টার নাম জানানো হয়নি। আমার আশঙ্কা, বেশ কিছু বছর পরে হয়তো এই নতুন লোগো-স্রষ্টার নামটিও বিস্মৃত হয়ে যাবে। যে ভাবে আমরা আজও জানতে পারি না, বিশ্বভারতী বা শ্রীরামকৃষ্ণ মঠের মতো আরও অনেক বহু-ব্যবহৃত লোগো/ট্রেডমার্ক স্রষ্টার নাম। ইতিহাসের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা কি ঠিক?


বার বার আমরা সংখ্যালঘু বলব!
আনন্দবাজার পত্রিকা (১০-৩) এই ছবিটি ছেপেছে। আন্তরিক অভিনন্দন। কিন্তু ছবির ক্যাপশন: ‘...শিবরাত্রির শাহিস্নান... তোড়জোড় দেখতে উৎসাহী সংখ্যালঘুরাও’। প্রশ্ন শেষ শব্দটি নিয়ে: ‘সংখ্যালঘুরাও’। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের বার বার আমরা সংখ্যালঘু বলে চিহ্নিত করব কেন?
মাতলা ব্রিজে ওঠার রাস্তা
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ক্যানিং বাজার থেকে মাতলা ব্রিজে ওঠার আগে ও পরে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভরা। মনে হয়, মাছ চাষ করার জন্য গর্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ওই মাতলা ব্রিজের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকতে হয়, এই বুঝি গাড়ি উল্টে যায়!
বাঁচান
৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর-বাঁকুড়া রাস্তাটি খামারবেড়িয়া পর্যন্ত দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। ছোট-বড় গর্তে ভরা রাস্তাটিতে বহুদিন ধরে মেরামতির কাজ বন্ধ রয়েছে। ব্যস্ত এই সড়কটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে এই রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা করে আমাদের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.