পাঁচ মিনিটের ঝড়। আর তাতেই মাথায় হাত পড়ল মুরারই থানার জাজিগ্রাম পঞ্চায়েত ও আমডোল পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকশো চাষির। শনিবার দুপুরে ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে এলাকার কয়েক হাজার বিঘার গম, বোরো ধান, পেঁয়াজ জমি, পান জমির ঠিক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত তার হিসেব অবশ্য এখনও করে ওঠতে পারেনি জেলা কৃষি দফতর। রবিবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, কোথাও মাঠের পাকা গম শিলাবৃষ্টির আঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে আছে, কোথাও পাকা ছোলা গাছ ফল সমেত খেতের জমিতেই মিশে গিয়েছে। শিলাবৃষ্টির আঘাতে জমির জলে মিশে পড়ে আছে বোরো ধানের কচি শিস। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানের গাছও।
গম, বোরো ধান-সহ রবি মরসুমে চাষের জন্য কৃষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন জাজিগ্রামের জাইদুল শেখ, আবু তালে হোসেন, আব্দুর রউফ-রা। কিন্তু মাঠের ফসল ঘরে তোলার আগেই ঝড়-শিলাবৃষ্টি তাঁদের সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। আমডোল পঞ্চায়েতের কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক রবিউল আলম বলেন, “জাজিগ্রাম-সহ আমডোল পঞ্চায়েতের ৯০ শতাংশ বোরো ধান, গম, ছোলা ও অন্যান্য রবিশস্যের ক্ষতি হয়েছে। জাজিগ্রামের ২০-২৫ জন পানচাষিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।”
এ দিকে মুরারই ২ ব্লকের ভারপ্রাপ্ত বিডিও সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঝড়ে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেব এখনও মেলেনি। সঠিক হিসেব পাওয়া গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
|
ভুল ঠিকানায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর |
সংসদের ওয়েবসাইট জানিয়েছিল পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম খুজুটিপাড়া চণ্ডীদাস কলেজ। ঠিকানা বীরভূমের নানুর। রবিবার প্রায় দেড়শোরও বেশি পরীক্ষার্থী নানুরে পৌঁছে জানলেন, ওই নামে সেখানে কোনও কলেজই নেই। ঘটনা হল, ওই চণ্ডীদাস কলেজ আসলে মুরারইয়ে। নানুর থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। ভুল ধরা পড়ার পরে অবশ্য সেখানে পৌঁছনোর মতো সময় ছিল না। ফলে পরীক্ষায় বসতে পারলেন না কেউই। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি রাজা ঘোষের অবশ্য ব্যাখ্যা, “প্রাথমিক ভাবে বহু কেন্দ্রের ঠিকানা ভুল ছিল। ২৭ মার্চ সেগুলি সংশোধন হয়েছিল।” এক পরীক্ষার্থী বলছেন, “ঠিকানা সংশোধনের খবর পরীক্ষার্থীদের দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু সংসদেরই।” |