সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাসের মাঝামাঝি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ) চালু করতে চলেছেন কর্তৃপক্ষ। শনিবার হাসপাতালের রোগী ক্যল্যাণ সমিতির বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসএনসিইউ’র পাশাপাশি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বা ইনটেনসিভ থেরাপি ইউনিট চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, সদ্যোজাতের মৃত্যুর হার কমাতে এবং তাদের চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিভিন্ন হাসপাতালে ওই ব্যবস্থা চালুর যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে সেই মতো এখানেও একই ব্যবস্থা হবে। ১৮ শয্যার ওই এসএনসিইউ হবে। ৬টি শয্যা থাকবে ক্রমশ সুস্থ হয়ে ওঠা শিশুদের রাখার জন্য। এ ছাড়া জরুরি বিভাগের সামনে ১০ জনের থাকার সুবিধাযুক্ত একটি দ্বিতল বিশ্রামাগার তৈরির-সহ কয়েকটি কাজের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রোগীর লোকদের বিভিন্ন তথ্য জানাতে ‘পাবলিক অ্যাডড্রেস সিস্টেম’ চালু, রোগীর লোকদের সাহায্য করতে আরও দুটি সহায়তা কেন্দ্র, মেডিক্যাল কলেজের গ্রন্থাগার, বিভিন্ন বিভাগ, হাসপাতাল এবং ক্ষতিকারক কিট পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা। প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে চুক্তিভিত্তিতে অন্তত ১৫ জন কর্মী নিয়োগ হবে।
|
রোবোটের চারটি হাত। সেই চার হাত রোগীর শরীরে ঢুকিয়ে অস্ত্রোপচার চালায় সে। অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী। আধুনিক এই অস্ত্রোপচার চালু করেছে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতাল। তাদের দাবি, সম্প্রতি যার সাহায্যে এই প্রথম স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত ক্যানসারের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। চিকিৎসক অর্ণব বসাক জানান, ৪০টি এ ধরনের অস্ত্রোপচার হলেও, স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত ক্যানসারে তা এই প্রথম। ল্যাপারোস্কোপি-র মাধ্যমে পেটের ভিতরে ক্যামেরা ঢুকিয়ে অস্ত্রোপচারের চেয়ে এটি ৫০% ব্যয়বহুল। কৃষ্ণাণু তেওয়ারি জানান, রোগীর পেটে ক্ষুদ্র ফুটো করে রোবোটের চার হাত ঢুকিয়ে দিয়ে চিকিৎসক অপারেশন থিয়েটারে কম্পিউটারের সামনে বসে চালিত করেন তাকে।
|
দোলযাত্রার উৎসবে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল দুই শতাধিক শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালপাড়ার দুধনৈতে। পুলিশ জানায়, কারিপাড়া-সারাপাড়া এলাকায় দোল উৎসবের আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই পুজো শেষে সাদ বিতরণ করা হয়। শুক্রবার থেকে একের পর এক শিশুর অসুস্থ হওয়ার খবর আসতে থাকে। তাদের মাটিয়া ও দুধনৈ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। গোয়ালপাড়ার জেলাশাসক প্রীতম শইকিয়া জানান, কারও অবস্থা তেমন গুরুতর নয়। কী ভাবে বিষক্রিয়া হল তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |