ইসকুলে মুশকিল
পড়তে বসলেই অনেক হিজিবিজি চিন্তা মাথায় আসে। বাবা-মা পাশে বসলে তবেই পড়ায় মন বসাতে পারি, নইলে পড়া ফেলে বারে বারে উঠে যাই। কী করে পড়ায় মনোযোগ দিতে পারব?
প্রমা রায়। ষষ্ঠ শ্রেণি, পাঠভবন, ডানকুনি, হুগলি

প্রমা, মনোযোগ দিতে না পারার কতকগুলো কারণ আছে। তুমি যদি খেলাধূলা করে এসে পড়তে বসো, তা হলে ক্লান্তির জন্য পড়ায় মন না বসতে পারে। অথবা খেলাধূলাতেই মনটা পড়ে থাকে বা টিভিতে যা দেখেছ তাই নিয়ে মনে ভাবনাচিন্তা চলতে থাকে। তা হলে সমস্যাটা হচ্ছে ওই সব ভাবনাচিন্তা থেকে মনকে সরিয়ে এনে পড়াশোনায় মন দিতে হবে। তা হলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ওই সব ভাবনাচিন্তা থেকে মনকে কী ভাবে সরাবে। প্রথমত, খেলাধূলা করে বা টিভি দেখে বা বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করে তখনই পড়তে বসলে মন ওই সব কথাই ভাবতে থাকবে। সুতরাং পড়ায় বসার আগে তুমি খানিকক্ষণ একদম শান্ত হয়ে বসবে। মনকে খালি রাখবে অর্থাৎ মন থেকে ওই সব চিন্তা সরিয়ে অন্য কিছু ভাববে, যেমন কোনও ফুল, পাখির ছবি বা প্রাকৃতিক কোনও দৃশ্য। যখন মনটা শান্ত হয়ে যাবে, তখন পড়তে বসবে। এই ব্যাপারে তোমায় একটু চেষ্টা করতে হবে। অবশ্য, তুমি যদি খুব ক্লান্ত থাক বা রাতে ঠিক মতো না ঘুমোও, তা হলে পড়ায় মন বসবে না।
আমার কিছু বান্ধবী এমন সব কথা বলে, যা শুনতে আমার ভাল লাগে না। তাই আমি হয় প্রসঙ্গান্তরে, নয়তো ওই জায়গা ছেড়ে উঠে চলে যাই। এতে ওরা কষ্ট পায়। আমি চাই না ওরা কষ্ট পাক।
প্রজ্ঞা দেবনাথ। নবম শ্রেণি, চম্পাহাটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
প্রজ্ঞা, পৃথিবীতে তুমি সবার মন জুগিয়ে চলতে পারবে না। তুমি তোমার বন্ধুদের বলো যে তুমি তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাও, কিন্তু তারা যেন তোমার সঙ্গে তোমার অপছন্দের কথা না বলে। ওরা যদি তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চায়, তা হলে তোমার কথা শুনবে। তা যদি না হয়, তোমাকে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
বন্ধুরা আমার পুরো টিফিন খেয়ে নেয় এবং ওদের টিফিনও আমায় দেয় না। ফলে আমার জন্য কিছু থাকে না। আমার কী করা উচিত?
অয়ন্তিকা চক্রবর্তী। সপ্তম শ্রেণি, চাতরা নেতাজি বালিকা শিক্ষা নিকেতন
অয়ন্তিকা, কখনও কখনও নিজের অসুবিধেগুলো মুখ ফুটে বলতে হয়। তুমি সঙ্কোচ করে বন্ধুদের তোমার অসুবিধের কথা বলতে পারছ না। তাই, ক্ষুধার্ত থেকে যাচ্ছ। বন্ধুদের বলো, ‘অ্যাই, তোরাও তোদের টিফিনের অংশ আমায় দে, নইলে আমার তো খিদে পায়।’ তার পরও যদি তারা না দেয়, তা হলে হয় তোমায় বাড়ি থেকে অনেক বেশি টিফিন আনতে হবে, অথবা বন্ধুদের বাদ দিয়ে অন্য কোনও জায়গায় গিয়ে টিফিন খেতে হবে।

খামে ভরো মুশকিল

পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:

ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.