জলন্ত খড়ে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। বুধবার রাত ৯টা নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের কাপাসিয়া পঞ্চায়েতের মানাইনগর এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগে। তাতে পুড়ে ছাই গিয়েছে ১৩টি কাচাবাড়ি। বেশ কিছু গবাদিপশু মারা গিয়েছে। রায়গঞ্জ থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের নাম আনসার আলি (২২)। তিনি পেশায় দিনমজুর। বৃহস্পতিবার সকালে ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে দুর্গতদের শুকনো খাবার ও ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। ইটাহারের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য বলেন, “দুর্গতদের সরকারি উদ্যোগে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। মৃত যুবকের পরিবারও সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ পাবে।” রায়গঞ্জ দমকলকেন্দ্রের ওসি নিতাইচন্দ্র মন্ডল জানান, রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
ওই রাতে মানাইনগর এলাকার অনেক বাসিন্দাই রাতের খাওয়া সেরে ঘুমোচ্ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেই সময় এলাকার কয়েকটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। বাঁশ, বেড়া, কাঠ, খড়ের তৈরি বাড়িগুলিতে দ্রুত আগুন ধরে তা ভয়াবহ আকার নেয়। দমকলে খবর দিয়ে এলাকার লোক পুকুর থেকে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। জখম হন তিন যুবক। পরে দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ওই রাতে ঘর থেকে বেরোতে পারেননি আনসার আলি।
আগুন নিভে যাওয়ার পর পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা ঘর থেকে আনসারেরদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে। আনসার দিল্লিতে দিনমজুরির কাজ করতেন। দিন পনেরো আগে বাড়ি ফিরেছিলেন। আনসারের বাবা কাজিমুদ্দিন আহমেদ বলেন, “হল্লা ও আগুনের তাপে পরিবারের সবাইকে তাড়াতাড়ি বাইরে বের হতে বলি। একে স্ত্রী ও ছেলেদেরও বাইরে বার হয়ে আসতে দেখি। পরে জানতে পারি ঘর ভেঙে চাপা পড়ে ছেলে।” |