স্যালাইনের দাবিতে চিকিৎসককে ঘেরাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
ইঞ্জেকশনের বদলে স্যালাইন দেওয়ার দাবিতে ঘণ্টাখানেকের বেশি এক চিকিৎসক ও নার্সকে হাসপাতালের গেটে তালা দিয়ে আটকে রাখলেন রোগীর আত্মীয়রা। শেষ পর্যন্ত স্যালাইন দেওয়ার পরে তাঁরা ঘেরাও মুক্ত হন। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট থানার কাষ্ঠগড়া প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে। মৌখিক ভাবে চিকিৎসক ইউসুফ আলি গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই চিকিৎসক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, “পরিকাঠামো গত নানা ত্রুটি থাকার পরেও ঠিক মতো পরিষেবা দিয়ে যদি হেনস্থার স্বীকার হতে হয়, তা হলে কী ভাবে পরিষেবা দেব।” কাষ্ঠগড়া গ্রামের বাসিন্দা রিপন শেখের অভিযোগ, “ওই চিকিৎসকের ব্যবহার ভাল নয়। রোগীদের ঠিক মতো পরীক্ষা না করে ছেড়ে দেন। বুধবারও বাবুল শেখ নামে এক রোগীকে ঠিক মতো না দেখে ইঞ্জেকশন দিয়ে ছেড়ে দেন। অথচ তাঁর স্যালাইনের প্রয়োজন ছিল।” ওই চিকিৎসকের দাবি, “এলাকার এক হাতুড়ে চিকিৎসকের নির্দেশে স্যালাইন দেওয়ার দাবিতে আমাকে হেনস্থা করেছেন।” রামপুরহাট ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমন্ত মণ্ডল বলেন, “চিকিৎসক যা ভাল বুঝেছেন সেটাই করেছেন। এলাকার কোন হাতুড়ে চিকিৎসক কী বলেছেন, সে ভাবে চিকিৎসা করা যায় না। এলাকার বাসিন্দাকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।”
|
রক্ত নিতে গিয়ে এইচআইভি সংক্রমণ |
দুই সরকারি হাসপাতালে রক্ত নিতে গিয়ে এইচআইভি সংক্রামিত হল থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত আট বছরের এক বালিকার শরীরে। স্বাস্থ্য দফতরে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার। অভিযোগে বলা হয়েছে, মনন্থাওয়াড়ির একটি সরকারি হাসপাতাল এবং কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পনেরো দিন অন্তর রক্ত দিতে হয় গত ছ’বছর ধরে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মেয়েটিকে। গত সেপ্টেম্বরে একটি পরীক্ষায় জানা যায়, সে এইচআইভি পজিটিভ। এবং রক্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া সূত্রেই এই ভাইরাস বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। ওই বালিকার মা-বাবা এবং ভাই একই পরীক্ষায় এইচআইভি নেগেটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। অর্থাৎ মেয়েটিকে এইচআইভি পজিটিভ কারও রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। আপাতত স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি। |