|
|
|
|
গঙ্গা আর পুকুরে স্নানে নেমে মৃত্যু ন’জনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দোলের দিন কলকাতা ও হাওড়ায় নদী ও পুকুরে এবং দুর্গাপুর ব্যারাজে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়ে। কয়েক জন পুকুরে স্নান করতে নেমে ডুবে যান। বৃহস্পতিবারেও কলকাতার ফেয়ারলি প্লেস ঘাটে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে ১১ বছরের এক কিশোর তলিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি। এ ছাড়া রং খেলা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে কয়েক জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হাওড়া গোলাবাড়ির ছাতুবাবু ঘাটে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে সোমপ্রকাশ যাদব (১৫) নামে এক কিশোর ডুবে যায়। তার বাড়ি সালকিয়ার ক্ষেত্র মিত্র লেনে। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাওড়ার ফজির বাজারের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির ছাত্র অভিষেক অগ্রবাল (১৭) শিবপুর রামকৃষ্ণপুর ঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিল। রিভার ট্রাফিক পুলিশ তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। বন্দর এলাকার সাউথ ইস্টার্ন কলোনির বাসিন্দা রাজেন্দ্র রাম (১৩) গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে ডুবে যায়। পুলিশের ডুবুরিরা রাজেন্দ্রকে উদ্ধার করলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। তক্তাঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় ভূমিক শেঠ (১৫) নামে ভবানীপুরের পদ্মপুকুর রোডের এক কিশোর। বাঘা যতীন এলাকার কাজী পুকুরে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতের নাম নন্দু রায় (৫০)। তিনি যাদবপুরের বাসিন্দা ছিলেন। হরিদেবপুরের রামজীবনপুর এলাকায় পুকুরে ডুবে মারা যান সঞ্জয় গুপ্ত (৩৫) নামে এক যুবক।
হাওড়া সিটি পুলিশ জানায়, বিপিন ঠাকুর (৩২) নামে বালি নিশ্চিন্দা সাঁপুইপাড়ার এক যুবক স্থানীয় পিএন কলোনির পুকুরে স্নান করতে নেমে ডুবে যান। ডুবুরিরা বিকেলে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন। শিবপুরের শরৎ চ্যাটার্জি রোডের বাসিন্দা রাজকুমার মাইতি (২০) বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করতে গিয়ে ছোট রামরাজাতলায় পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান। বুধবারেই দুর্গাপুর ব্যারাজে স্নান করতে গিয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (২৫) নামে এক যুবক তলিয়ে যান। সন্ধ্যায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, প্রসেনজিতের বাড়ি দুর্গাপুর শহরে। তিনি বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার কলকাতার চাঁদনি চকের এক কিশোর গঙ্গায় তলিয়ে যায়। মহম্মদ ইমরান নামে ওই কিশোর আত্মীয়বন্ধুর সঙ্গে দু’নম্বর জেটিতে স্নান করতে নেমেছিল। জোয়ারের টানে সে তলিয়ে যায়। পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ডুবুরিরা রাত পর্যন্ত ইমরানের হদিস পাননি।
|
নিয়োগ পরীক্ষার হেল্পলাইন |
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রার্থীদের সাহায্যের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। হেল্পলাইনের নম্বরগুলি হল: ০৩৩-২৩৩৪৮৯৮৩, ২৩৫৯৮১৩৫, ২৩২১১২০১। ৩১ মার্চ, রবিবার রাজ্য জুড়ে সাড়ে ছ’হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা হবে। পর্ষদ জানিয়েছে, হেল্পলাইনগুলি ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। রবিবার পর্যন্ত সেগুলি কার্যকর থাকবে। স্কুলশিক্ষা অধিকর্তার দফতরও পরীক্ষার দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিশেষ হেল্পলাইনের বন্দোবস্ত করেছে। সেই হেল্পলাইনের টেলিফোন নম্বর: ০৩৩-২৩৩৪৪৫০৪। ফ্যাক্স নম্বর: ০৩৩-২৩৩৭৮০৩৬। |
|
|
|
|
|