রাস্তা সংস্কার নিয়ে ফের দায়সারা কাজের অভিযোগ উঠল হুড়া ব্লকের মাগুড়িয়া-লালপুর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। চিড়াগোড়া সেতু থেকে পাহাড় মেলা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন চিড়াগোড়া গ্রামের বাসিন্দারা। চিড়াগোড়া গ্রামের বাসিন্দা লক্ষীকান্ত মুর্মু, রাবণ মুর্মুর অভিযোগ, “নিতান্ত দায়সারা ভাবে রাস্তা তৈরির কাজ করছে পঞ্চায়েত। পাথর বিছিয়ে সামান্য পরিমাণ মোরাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় পুরো রাস্তায় পাথর বেরিয়ে রয়েছে। সাইকেল, মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াত করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে।” গ্রামবাসীরা সম্প্রতি পঞ্চায়েত অফিসে কাজের প্রতিবাদ জানান। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তা তৈরির সময়ই যদি এই অবস্থা হয়, তবে বর্ষায় রাস্তা ধুয়ে যাবে। তখন পাথর বেরিয়ে পড়লে এই রাস্তায় যাতায়াত করা রীতিমত কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। |
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দিন কয়েক আগে রাস্তা সংস্কারের এই কাজ শুরু করেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। কাজের জন্য ২,৮৭,০০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাসিন্দারা জানান, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছেন, যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তাতে এর থেকে ভাল কাজ করা সম্ভব নয়। আর পাথরের উপরে পুরু মোরাম বিছিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করতে গেলে পুরো রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব নয়। হুড়ার বাসিন্দা তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক নরেন চক্রবর্তী বলেন, “পঞ্চায়েত কোনও কাজে হাত দেওয়ার আগে সেই কাজের জন্য কত অর্থ প্রয়োজন, তা আগাম হিসেব করে। সেই হিসেব উল্লেখ করেই ওই কাজ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। বরাদ্দ টাকায় পুরো রাস্তা সংস্কার যদি না করা যায়, তা হলে আগাম হিসেব কী ভাবে করা হয়েছিল?” তাঁর দাবি, “রাস্তাটি বড়জোর দেড় কিলোমিটার চওড়া। ওই টুকু রাস্তা কেন এক লপ্তে সংস্কার করা হবে না?” পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিপিএমের অশ্বিনী কুমার দাসের দাবি, “বরাদ্দ করা অর্থে যত পরিমাণ মোরাম ও পাথর সরবরাহ করা হয়েছে, তা দিয়ে পুরো রাস্তা সংস্কার করা যাবে না। তাই যতটুকু রাস্তা ভাল ভাবে করা যাবে, ততটুকুই আমরা সংস্কার করব।” তাহলে কত পরিমাণ রাস্তার আগাম সংস্কারের হিসেব করা হয়েছিল? সদুত্তর নেই উপপ্রধানের কাছে। হুড়ার বিডিও সুব্রত পালিত বলেন, “পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতেরই পারুলগোড়া গ্রামে একটি রাস্তা সংস্কার করা নিয়ে বিডিও-র কাছে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শ্রমিকেরাই। ফের আরও একটি রাস্তা সংস্কার নিয়ে অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়লেন সিপিএম পরিচালিত মাগুড়িয়া-লালপুর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। |