এক নৈশপ্রহরীকে খুন করে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ ধুবুরি জেলার মানকাচর থানার কাকরিপারা বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম নোতি মিয়াঁ (৫৫)। তাঁর বাড়ি কাকরিপারা গ্রামে। পুলিশ জানায়, রাতে নোতি মিয়াঁ এবং তাঁর এক সহযোগী আমজাদ আলি ওই বাজারে পাহারা দিচ্ছিলেন। তাঁরা দুজন বাজারের দুদিকে টহলে চলে যান। আধ ঘন্টা পার হওয়ার পরে নোতি মিয়াঁ ঘুরে না আসায় আমজাদ তাঁকে খুঁজতে অন্য প্রান্তে যান। তিনি পুলিশকে জানান, ওই সময়ে বাজারের অন্য প্রান্তে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন। তিনি বাজারে আগুন লেগেছে ভেবে চিৎকার করেন। আগুন নেভাতে গিয়ে নোতি মিয়াঁর জলন্ত দেহ মেলে। ব্যবসায়ীদের সন্দেহ, বাজারের ওই দুই পাহারাদার বহুদিন থেকেই নিষ্ঠার সাথে বাজারে পাহারা দেন। ফলে আজ পর্যন্ত ওই বাজারে চুরি-ডাকাতি হয়নি। নৈশ পাহারাদারদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টির জন্য দুষ্কৃতীরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের সন্দেহ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত দত্ত জানান, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।
|
কুয়াশায় বিমান নামতে দেরী হয়ে যায় সে বার। মাস তিনেক আগে কলকাতায় এলেও তাই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নীতীশ আসছেন এপ্রিলে। ২০১৪-এ লোকসভা নির্বাচন। আর তাই মমতা-নীতীশ বৈঠক উস্কে দিচ্ছে জল্পনা। মহাকরণ সূত্রের খবর, এ বার আন্তঃরাজ্য পরিষদের পূর্বাঞ্চল শাখার বৈঠক হবে কলকাতার টাউন হলে। সারা দেশে এ রকম পাঁচটি আঞ্চলিক পরিষদ রয়েছে। প্রতিটি পরিষদের চেয়ারপার্সন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে। সেই পরিষদের পূর্বাঞ্চল শাখার ভাইস চেয়ারপার্সন হিসেবে এ বার মমতার নাম মনোনীত হয়েছে। পূর্বাঞ্চল পরিষদের সদস্য পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড। এর আগে পূর্বাঞ্চল পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন ছিলেন নবীন পট্টনায়ক। ৩ মার্চ তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। এক বছর মমতা এই পদে থাকবেন। কলকাতার টাউন হলে পূর্ব ভারতের ওই চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক হবে। প্রাথমিক ভাবে ১৭ এপ্রিল বৈঠকের দিন ঠিক হয়েছে। বৈঠকে যেমন থাকবেন সুশীল শিন্দে, তেমনই থাকবেন নীতীশ কুমার ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, মাস তিনেক আগে ওড়িশায় এই পূর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, মমতা সেখানে যাননি। তার পর থেকে ঠিক হয়েছে, চার জনের মধ্যে যদি এক জন মুখ্যমন্ত্রী আসতে না পারেন, তা হলেও বৈঠক হবে।
|
সঞ্জয় দত্ত না চাইলেও রাজ্যপালের কাছে ক্ষমাভিক্ষা করলেন ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণে দোষী সাব্যস্ত জেবুন্নিসা কাজী। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মার্কণ্ডেয় কাটজুর সাহায্য চেয়েছিলেন জেবুন্নিসার মেয়ে। কাটজু জেবুন্নিসার জন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
|
পুরনো নিয়মে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা |
দেশজুড়ে বিতর্কের মধ্যেই সিভিল সার্ভিস মেন্স পরীক্ষায় বদলের প্রস্তাব ফিরিয়ে নিল ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার একটি সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, আইএএস, আইপিএস, আইএফএস অফিসার নির্বাচনের এই পরীক্ষায় পুরনো নিয়ম ফিরিয়ে এনে এখন থেকে ফের যে কোনও একটি ভারতীয় ভাষা এবং ইংরেজি ভাষার পরীক্ষা দিতে হবে। তবে তা দিতে হবে শুধু এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য। মেধা তালিকার সঙ্গে এই দু’টি পত্রে প্রাপ্ত নম্বরের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। এই দু’টি ভাষা পত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের গদ্য পড়া এবং বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হবে। এ ছাড়াও ‘এথিকস, ইন্টিগ্রিটি এবং অ্যাপ্টিটিউড’ এবং প্রবন্ধ রচনায় দু’টি পৃথক পত্রের পরীক্ষা দিতে হবে। অপরিবর্তিত থাকছে সিভিল সার্ভিস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নিয়মকানুনও।
|
জল চুরির দায়ে পওয়ারের দল |
খরার প্রকোপে ভুগছে গোটা মহারাষ্ট্র। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা শোলাপুর জেলার রোপালা গ্রামের। কিন্তু, প্রকৃতিকে দোষ দিচ্ছেন না রোপালা গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এই সঙ্কটের জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ারের দলের লোক। পওয়ারের নির্বাচনী কেন্দ্র মাধার মধ্যেই পড়ে রোপালা। গ্রামের কাছেই উজানি বাঁধ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওই জল নিজেদের চিনিকলে নিয়ে যাচ্ছেন এনসিপি নেতা বাবনরাও শিন্দে, শ্যামল বাগালরা। পানীয় ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্যে জল ব্যবহার করা যাবে না বলে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খোদ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ। রোপালার বাসিন্দাদের দাবি, সেই হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘জল চুরি’ করে চলেছে পওয়ারের দল। বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।
|
দশ দিন আগে বিধায়কদের হাতে মার খেয়েছিলেন পুলিশকর্মী শচিন সূর্যবংশী। বুধবার মহারাষ্ট্রে ফের হামলার মুখে পড়লেন সহকারী পুলিশ ইনস্পেক্টর ধনঞ্জয় পাটিল। এখন আইসিইউতে ভর্তি তিনি। অভিযোগ, এনসিপির প্রাক্তন পুরপিতা চন্দ্রকান্ত সোনারের ছেলে দেবেন্দ্র ও ভূষণ হোলির দিন ধনঞ্জয়ের উপরে তরোয়াল নিয়ে হামলা চালায়।
|
হায়দরাবাদ বিস্ফোরণ-সহ সন্ত্রাস সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলার তদন্ত করছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। কিন্তু সেই সংস্থার পরিকাঠামো ও অর্থের একান্ত অভাব। এ কথা জানিয়েছে সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। এনআইএকে উপযুক্ত পরিকাঠামো ও অর্থ দিতে না পারায় স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রকের কড়া সমালোচনা করেছে কমিটি। |