সেচের জন্য যৌথ দরবার, বর্তমানকে আশ্বাস প্রাক্তন মন্ত্রীর
রাজ্যে সেচ ও ভাঙন রোধের কাজে অর্থাভাব মেটাতে দিল্লিতে একসঙ্গে দরবার করতে আপত্তি নেই বলে বর্তমান সেচমন্ত্রীকে আশ্বাস দিলেন প্রাক্তন সেচমন্ত্রী। রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের কাছে একসঙ্গে আবেদন জানানোর জন্য কংগ্রেস বিধায়কদের উদ্দেশে বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত অধিবেশনেই আর্জি জানান সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে মঙ্গলবার একান্ত বৈঠকে রাজ্যের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন সেচমন্ত্রী তথা কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া।
সেচ ভবনের অতিথি নিবাসে মানস ভুঁইয়া ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সল্টলেকে —নিজস্ব চিত্র
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী, বাঘাই নদী সংস্কার বা কান্দি মাস্টার প্ল্যানে ভাঙন রোধের কাজ কেন্দ্রীয় অর্থ-বঞ্চনায় থমকে রয়েছে বলে মানসবাবুকে এ দিন জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী। একাধিক বার কেন্দ্রেরকাছে দরবার করা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে প্রাক্তনের কাছে অভিযোগ জানান বর্তমান। অভিযোগ মেনে নিয়ে প্রাক্তন সেচমন্ত্রীও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে সম্মত হন। সেচ ভবনের অতিথি নিবাসে বর্তমান ও প্রাক্তনের এক বৈঠকের পরে দু’জনেই স্বীকার করেছেন সে কথা। প্রসঙ্গত, পায়ের অস্ত্রোপচারের পরে দফতরে কাজের সুবিধার্থে বিধাননগরে সেচ ভবনের অতিথি নিবাসেই থাকছেন সেচমন্ত্রী।
রাজীববাবু বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন নদী সংস্কার, ভাঙন রোধ এবং সেচ-সেবিত এলাকা বৃদ্ধির কাজে এখনও প্রায় দু’হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাঠায়নি কেন্দ্র। ফরাক্কা ব্যারেজ-সহ কিছু প্রকল্পের অর্থ কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ হওয়া সত্ত্বেও পাচ্ছি না, সে কথা মানসবাবুকে বলেছি।” মানসবাবুর কথায়, “রাজীববাবু বলেছেন কেন্দ্রের কাছ থেকে সেচ প্রকল্পে টাকা আসছে না। কান্দি প্রকল্পের মতো কাজ টাকার অভাবে থমকে থাক, চাই না। প্রয়োজনে তাই কেন্দ্রের কাছেও আমি ব্যক্তিগত ভাবে দরবার করতে রাজি, রাজীববাবুকে বলেছি সে কথা।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.