আগে সত্যপীরের পুজো হত দু’দিন। পরে শীতলা ও রাধা-কৃষ্ণের পুজো শুরু হয়ে আগে-পরে। গ্রামবাসী শ্রীকান্ত গোরায়, মিহির প্রধান, অনাথবন্ধু প্রধানরা বলেন, “আত্মীয়-স্বজন ও দূর-দূরান্তের বাসিন্দাদের ভিড়ে গ্রামে এই সময় জমজমাট চারিদিক।” পুজোর দায়িত্বে থাকা শেখ কালু জানান, দু’দিনে কয়েক হাজার শিরনি চড়ানো হয়। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে এলাকার মানুষ শিরনি, চাঁদোয়া, পোড়ামাটির হাতি-ঘোড়া, আতর, ধূপ, বাতাসা, সন্দেশ নিবেদন করেন। অনেকে মানত করেন দরগায় পাকা কলা বেঁধে। পুজো শেষ হয় রাতে। তারপর শুরু হয় পালাগানের অনুষ্ঠান। মালযমুনা গ্রামের পালাগানের শিল্পী পশুপতি রানা, আশুতোষ রানারা জানান, দু’রাত জেগে সেই গান শোনেন এলাকার আবালবৃদ্ধবণিতা।
উৎসব কমিটির কর্মকর্তা উমাকান্ত বারি, কানাইলাল গিরিরা বলেন, “জাত-পাতের গোঁড়ামি ছাড়িয়ে সম্প্রীতির বাতাবরণে ভক্তপ্রাণ মানুষজন একাকার হয়ে যান। এটাই আমাদের উৎসবের ঐশ্বর্য ও অহঙ্কার।” দাঁতনের বাসিন্দা অতনুনন্দন মাইতি বলেন, “শীতলা ও রাধা-কৃষ্ণের মাঝে সত্যপীরকে মধ্যমণি করে রেখেছেন এলাকাবাসী। সম্প্রীতির এমন নিদর্শন সত্যিই দুর্লভ।” |