জামিন পেলেন কাঁকসায় ছাত্রীর মৃত্যুতে অভিযুক্তেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
আদালতে হাজির হয়ে কাঁকসায় আবাসিক স্কুলে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় জামিন পেলেন ছ’জন। সোমবার অভিভাবকেরা স্কুলটি যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালায় তার সম্পাদক, এক কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষিকা ও তিন রাঁধুনির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদালত থেকে জামিন নেন তাঁরা।
ওই স্কুলের মোট ৫৬ জন পড়ুয়া রবিবার অসুস্থ হয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সোমবার ৩২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক মিহির নন্দী মঙ্গলবার বিকেলে জানান, এ দিন দু’জন ছাড়া অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই দু’জনকেও সম্ভবত আজ, বুধবার ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কাঁকসার ডাঙালের আদিবাসী আবাসিক প্রাথমিক স্কুলে শনিবার হস্টেলে দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে ২৫ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ে যান পানাগড়ে কাঁকসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসার পরে তারা হস্টেলে ফিরে যায়। রাতে নতুন করে অসুস্থ হয় ৪২ জন। প্রথমে তাদের ইলামবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অর্চনা হেমব্রমের মৃত্যু হয়।
রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের মাধ্যমে মূলত কেন্দ্রীয় অনুদানে চলে স্কুলটি। দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এক পড়ুয়ার মৃত্যু ও বহু পড়ুয়ার এক সঙ্গে অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় ওই সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন ওঠে। প্রাথমিক ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে এমন ঘটেছে। মৃত ছাত্রীর ভিসেরা-সহ অন্য নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, স্কুলের দেওয়া খাবার থেকেই এমন বিষক্রিয়া ঘটেছে। ঘটনার পরে অসুস্থদের বড় হাসপাতালে না নিয়ে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কিছু অভিভাবক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক পারশ তিওয়ারি, অন্যতম কর্মকর্তা কবিলাল মাড্ডি, প্রধান শিক্ষিকা সুস্মিতা পাঠক ও তিন জন রাঁধুনির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন। গাফিলতির জেরে মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়। এ দিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন তাঁরা।
|