ইট তৈরির নামে টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পরিষদের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই কর্মীর নাম মুজিবর রহমান। স্থানীয় সিপিএম কর্মী বলে পরিচিত মুজিবর বংশীহারী ব্লকের নূরপুর এলাকায় জেলা পরিষদ পরিচালিত ইটভাটার কর্ম সহায়ক পদে কর্মরত। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা তাঁর কাছে নয়ছয়ের কৈফিয়ত তলব করতেই অভিযুক্ত কর্ম সহায়ক দুই দফায় মোট ৮৫,০০০ টাকা ফেরত্ দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “ওই কর্মীকে শো-কজ করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিপিএম নেত্রী মাগদালিনা মুর্মু বলেন, “ধামাচাপা দেওয়ার ব্যাপার নেই। অভিযুক্ত যে দলেরই হোন না কেন, অনিয়মে যুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা হবে।” অভিযুক্ত কর্ম সহায়ক মুজিবর রহমান অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “ইট বিক্রির টাকা বাবদ দুই দফায় ৮৫ হাজার টাকা জেলা পরিষদে জমা দিয়েছি।” তবে পরিষদের অফিসারেরা জানিয়েছেন, ওই ভাটায় ইঁট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। ইট বিক্রির কোনও প্রশ্নই নেই।”
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ পরিচালিত দুটি ইটভাটার মধ্যে কুমারগঞ্জের ভাটাটি আর্থিক নয়ছয়ের দায়ে বহুদিন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বংশীহারীর ইঁটভাটাটি ঠিকঠাক চালানোর জন্য পাঁচ মাস আগে জেলা পরিষদ থেকে ওই কর্ম সহায়ককে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রমদিবস এবং ইঁট পোড়ানোর জ্বালানিতে কারচুপি করে অভিযুক্ত কর্মসহায়ক ৮৫ হাজার টাকা নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ। |