সরকারি সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি আলু কেনার দাবিতে কংগ্রেসের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলা কৃষি দফতরে। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রায় একঘন্টা জেলার উপ কৃষি অধিকর্তাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। সেইসময় আন্দোলনকারীরা উপ কৃষি অধিকর্তার টেবিলে একবস্তা আলু ছড়িয়ে দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
উপ কৃষি অধিকর্তা শিবপ্রসাদ রায় বলেন, “রাজ্য কৃষি দফতরের তরফে ওই ধরণের কোনও নির্দেশ আসেনি। আগামী ২ এপ্রিল একটি প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখান বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের কর্তারা থাকবেন।” পাশাপাশি, দফতরের তরফে রাজ্য কৃষি দফতরের কাছে আলু কেনার কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ বছর জেলায় ২১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উত্পাদন হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকারি সহায়ক দরে আলু কেনার কাজ শুরু না হওয়ায় চাষিরা কুইন্ট্যাল পিছু ৪০০ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ ও সন্দীপ বিশ্বাস জানান, বিঘা প্রতি জমিতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ করে চাষিরা ৩০ কুইন্ট্যাল আলু উত্পাদন করেছেন। অথচ সেই আলু তাঁরা ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারি হিমঘরের অভাবে চাষিরা আলু সংরক্ষণ করতে পারছেন না।
মোহিতবাবু জানান, জেলার চাষিদের স্বার্থে এপ্রিল মাসের মধ্যে সরকারি সহায়ক দরে আলু কেনার কাজ শুরু না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলা কৃষি দফতরে তালা মেরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে। |