কেউ গ্রাম থেকে রক্তদাতাকে জোগাড় করে এনেছেন, কেউ বা রক্তদাতার কার্ড হাতে নিয়ে ব্লাড ব্যাঙ্কের দরজায়, দেওয়ালের নোটিসের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন। ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায়ই বা কী। কারণ, রক্তের ব্যাগের জোগান নেই। তাই রক্তাদাতার আসছেন আর ফিরে যাচ্ছেন। রামপুরহাট হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে সোমবার দুপুরে এটাই ছিল দৃশ্য। রামপুরহাট হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “মাঝে মধ্যে রক্ত সংগ্রহ করা ব্যাগের অভাব পড়ে যায়। চাহিদা মতো পাওয়া যায় না। এর ফলে রক্ত দিতে এসেও ঘুরে যাচ্ছেন।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্ত সংগ্রহ করার ব্যাগের অভাবে রবিবার রামপুরহাট শহরে একটি রক্তদান শিবির বাতিল হয়ে যায়।
|
এ দিকে, রক্ত দিতে না পেরে দাতারা যেমন ঘুরে যাচ্ছেন, তেমনি রক্ত না পেয়ে হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরছেন রোগীর পরিবারের লোকজন। সোমবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, ময়ূরেশ্বর থানার প্রচন্দপুরের জাকির শেখ ব্লাড ব্যাঙ্কের দরজায়, দেওয়ালে নোটিস দেখে কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, “অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসক রক্তের কথা বলেছিলেন। কিন্তু চার জন রক্তদাতাকে নিয়ে এসেও ফিরে যেতে হল।” জাকিরের মতো এ ভাবেই খালি হাতে ফিরে যান প্রচন্দপুরের হাসিল শেখ, আবদুল্লা খাঁ-রা। হিমাদ্রিবাবু বলেন, “সাঁইথিয়া, তারাপীঠ, নলহাটির রক্তদান শিবিরের আয়োজক সংস্থা আগাম জানিয়ে রেখেছে। সোমবার বর্ধমান থেকে ৫০টি ব্যাগ এসেছে। তাতে আর ক’দিন চলবে।”
এই সমস্যা শুধু রামপুরহাটের নয়। সিউড়ি সদর ও বোলপুর মহকুমা হাসপাতালেও ব্যাগের জোগান নেই। সিউড়িতে রবিবার পর্যন্ত মাত্র ১০টি ব্যাগ ছিল। হাসপাতাল সুপার মানবেন্দ্র ঘোষ জানান, মাসে ৫০০টি ব্যাগ প্রয়োজন হয়। জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গুরুদাস পাত্র বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” |