নিত্যদিন ট্রেন চলছে দেরিতে। কোন প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসছে বা কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন ছাড়ছে, তা ঘোষণা করেও শেষ মুহূর্তে সেটা পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনের কামরায় আলো নেই, পাখা চলছে না। জল অমিল। বারবার অভিযোগ করেও লাভ হচ্ছে না।
কী করবেন?
এত দিন প্রয়োজনে মন্ত্রীর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতে হত যাত্রীদের। এ বার অভিযোগ শুনতে এগিয়ে আসছেন খোদ মন্ত্রীই। যাত্রীদের অভিযোগ নেওয়ার জন্য রীতিমতো সাজিয়ে-গুছিয়ে জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে হাতের কাছেই। শুধু তা-ই নয়, মাসের বেশ কয়েকটি দিন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী নিজেও বসবেন সেই অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্রে। বুধবার শিয়ালদহ স্টেশনে আনুষ্ঠানিক না-হলেও ওই অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্রের সূচনা হয়ে গেল। কাজ শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। অধীরবাবু বলেন, “জায়গাটা অনেক দিন ধরেই পড়ে ছিল। জানি, রেলের পরিষেবা
নিয়ে বহু যাত্রীর নানা ধরনের অভিযোগ থাকে। কিন্তু তাঁরা সেই সব অভিযোগ জানানোর জন্য হাতের কাছে ঠিকঠাক জায়গা পান না। তাই আমি এই ব্যবস্থা করেছি।” |
শিয়ালদহ স্টেশনে অধীর চৌধুরী।—নিজস্ব চিত্র |
রেল সূত্রের খবর, শিয়ালদহ ও হাওড়া দু’টি বড় স্টেশন দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়াও লোকাল ট্রেনে লক্ষ লক্ষ নিত্যযাত্রী যাতায়াত করেন। পরিষেবা নিয়ে তাঁদের অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু কাকে বলবেন? কে-ই বা শুনছে তাঁদের ক্ষোভের কথা! অবশেষে অভিযোগ নেওয়ার জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় এ বার ওই সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরিষেবা নিয়ে যাত্রীরা সরাসরি মন্ত্রীর কাছেই লিখিত অভিযোগ জানাতে পারবেন। রেল বোর্ড থেকে কয়েক জন প্রতিনিধি ওই দফতরে নিয়মিত বসবেন অভিযোগ শোনার জন্য। ফি-মাসে নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে সেখানেই যাত্রীদের মুখোমুখি হবেন খোদ প্রতিমন্ত্রী।
জায়গাটা ঠিক কোথায়?
শিয়ালদহ স্টেশনে দক্ষিণের ভবনটির তৃতীয় তলায় বিরাট জায়গা নিয়ে ওই অভিযোগ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। সেখানে অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে শুরু করে অফিসের কাজকর্ম করার জন্য কর্মীদের বসার জায়গাও থাকছে। আলাদা ঘর তৈরি করা হয়েছে প্রতিমন্ত্রীর জন্য। অধীরবাবু আশ্বাস দিয়েছেন, “দিল্লি বা মুর্শিদাবাদ ছাড়া যে-ক’দিন কলকাতায় থাকব, রোজই এখানে আসার চেষ্টা করব।” |