প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার কেন্দ্র খুঁজতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বহু পরীক্ষার্থী। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে যে ওয়েবসাইট দেওয়া হয়েছে, সেখানে রোল নম্বর দিলে তা বৈধ নয় জানানো হচ্ছে, এমন অভিযোগও তুলেছেন বাঁকুড়ার অনেক পরীক্ষার্থী। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অবশ্য আশ্বাস, কিছু সমস্যার কথা তাঁরা জেনেছেন। শীঘ্র সে সব মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।
ওয়েবসাইটে রোল নম্বর ভুল বলে দেখানোর অভিযোগ তুলে সোমবার সকালে বহু পরীক্ষার্থী বীরভূমের সিউড়িতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে বিক্ষোভ দেখান। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার মেজিয়ার নাগরডাঙা এলাকার পরীক্ষার্থী দিব্যেন্দু মহন্ত, চন্দন মহন্তরা অভিযোগ করেন, ওয়েবসাইটে রোল নম্বর দিলে সেটি বৈধ নয় জানানো হচ্ছে। নাগরডাঙার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পরীক্ষার্থীরাও এই সমস্যায় পড়েছেন বলে তাঁদের দাবি। দিব্যেন্দুদের আক্ষেপ, “অনেক আশা নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এখন তো পরীক্ষায় বসতে পারব কি না, তা-ই বুঝতে পারছি না।”
পুরুলিয়া থেকে আবেদনপত্র তুলেছিলেন ছাতনার হরিডি গ্রামের বাসিন্দা সুমিত মণ্ডল। তিনি অভিযোগ করেন, ওয়েবসাইটে তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্রের যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, তা ঠিক নয়। তাঁর বক্তব্য, “ওয়েবসাইটে দেখাচ্ছে, পুরুলিয়া জেলার কোতুয়ালি থানার ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউটে আমার কেন্দ্র। কিন্তু কোতুয়ালি নামে তো ওই জেলায় কোনও থানাই নেই!” তিনি ছাড়াও এলাকার আরও কিছু পরীক্ষার্থী একই সমস্যায় পড়েছেন বলে দাবি সুমিতবাবুর। তাঁর আরও অভিযোগ, “এই ঘটনায় বিভ্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে গিয়েছিলাম। স্কুল পরিদর্শক তখন দফতরে ছিলেন না। সমস্যার তো সমাধান হল না। উল্টে, বাঁকুড়া জেলার ছেলে হয়ে পুরুলিয়ায় কেন আবেদন করেছি, সেই কৈফিয়ত চাইলেন দফতরের কিছু আধিকারিক। তার পরে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হল।” তাঁর ক্ষোভ, “ফর্ম পূরণ করেও যদি শেষে পরীক্ষা দিতে না পারি, তা হলে কে দায়ী থাকবে?”
বাঁকুড়া প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যার খবর আসছে। দ্রুত সেগুলি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। পরীক্ষার দিন যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
আদিবাসী সম্প্রদায়ের অস্থি বিসর্জন উপলক্ষে চার দিনের মেলা শুরু হল সাঁতুড়ির তেলকুপী বারনী ঘাটে। মঙ্গলবার প্রথম দিনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু ও পূর্ণচন্দ্র বাউরি। সাঁতুড়ি ব্লকের মধুকুন্ডার কাছে দামোদর তীরে প্রতি বছর চৈত্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অস্থি বিসর্জন দিতে ও পিতৃপুরুষের প্রতি তর্পণ করতে জড়ো হন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। |