|
|
|
|
খড়্গপুরে স্বস্তিতে সিপিআই |
তৃণমূলকে সমর্থনের চিঠি প্রত্যাহার দুই কাউন্সিলরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
দলের নির্দেশ মেনে চিঠি প্রত্যাহার করে নিলেন খড়্গপুরে সিপিআইয়ের দুই কাউন্সিলর। এক জন এখনও চিঠি প্রত্যাহার করেননি। তবে দলের আশা, তিনিও চিঠি প্রত্যাহার করে নেবেন।
মঙ্গলবার খড়্গপুরের মহকুমাশাসক আর বিমলাকে চিঠি দিয়ে লিপিকা বাগদি এবং মমতাজ কুদ্দুস জানান, মার্চের গোড়ায় তৃণমূলের পুরপ্রধানকে সমর্থন করতে চেয়ে তাঁরা যে চিঠি দিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। চিঠির প্রতিলিপি পৌঁছেছে জেলাশাসক, খড়্গপুরের পুরপ্রধান, এবং পুর-দফতরে। ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান তুষার চৌধুরী বলেন, “প্রতিলিপি পেয়েছি। দুই সিপিআই কাউন্সিলরের সই রয়েছে তাতে।” এ নিয়ে অবশ্য সিপিআই নেতৃত্ব মুখ খুলতে নারাজ। দলের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণার বক্তব্য, “এখনই কিছু বলব না।”
দলেরই এক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সিপিএম নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি জানাতে পারেন। তার আগে ওই দুই কাউন্সিলরও যেন সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ না খোলেন, সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলরের কথায়, “দল নিষেধ করেছে। আজ কিছু বলব না।” তবে তৈমুর আলি খান নামের অন্য এক কাউন্সিলরের অবস্থান কিন্তু দলের কাছে কাঁটা হয়েই রয়েছে। ওই কাউন্সিলর মঙ্গলবারও জানান, তিনি চিঠি প্রত্যাহার করবেন না। তাঁর কথায়, “চিঠি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে কিছু ভাবছিই না।” এই তিন সিপিআই কাউন্সিলরের চিঠি ঘিরে গত ক’সপ্তাহ ধরে শোরগোল চলেছে খড়্গপুরে। মার্চের গোড়ায় মহকুমাশাসককে ওই চিঠি দেন এই তিন কাউন্সিলর। তাতে জানানো হয়, তৃণমূলের জহরলাল পাল পুরপ্রধান হলে তাঁদের সমর্থন থাকবে। তৃণমূলের এক কাউন্সিলরকে কেন পুরপ্রধান হিসেবে দেখতে চাইছেন সিপিআই কাউন্সিলররা, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। বিড়ম্বনায় পড়েন সিপিআইয়ের জেলা নেতৃত্ব। শুরুতে দলের ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকই করতে পারছিলেন না নেতৃত্ব। পরে অবশ্য একাধিক বৈঠক হয়। বৈঠকে চিঠি প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়। নেতৃত্বের বক্তব্য, কাউন্সিলরদের এই পদক্ষেপ দল সমর্থন করে না। দলকে কিছু না জানিয়ে মহকুমাশাসকে চিঠি দেওয়া অন্যায় হয়েছে। এমন চিঠির কোনও প্রয়োজনই ছিল না।
কাউন্সিলরদের বক্তব্য ছিল, পুরসভায় অচলাবস্থা চলছে। তাঁরা স্থিতাবস্থা ফেরাতেই মহকুমাশাসককে ওই চিঠি দেন। যদিও এই বক্তব্য যুক্তিসঙ্গত নয় বলে জানান নেতৃত্ব। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, অনাস্থা প্রস্তাব কংগ্রেস আনে। সিপিআই নয়। ফলে, অনাস্থার জেরে অচলাবস্থা চললে তার দায় দলের নয়। এরপরই দুই সিপিআই কাউন্সিলর সুর কিছুটা নরম করেন। দলীয় নেতৃত্বকে আশ্বাস দেন, তাঁরা ওই চিঠি প্রত্যাহার করে নেবেন। |
|
|
|
|
|