ইস্তফা ইতালির বিদেশমন্ত্রীর
সংবাদসংস্থা • রোম |
খুনের আসামি দুই মেরিনকে দিল্লি পাঠানোর প্রতিবাদে ইস্তফা দিলেন ইতালির বিদেশমন্ত্রী জিউলিও তেরজি। বিদেশমন্ত্রী মঙ্গলবার সংসদে ঘোষণা করেছেন, তিনি এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না। তাঁর আপত্তি অগ্রাহ্য করে সরকার দুই সেনাকে বিচারের জন্য দিল্লি পাঠানোয় তাঁর পদত্যাগ করা ছাড়া উপায় থাকছে না। শুক্রবার ইতালির উপবিদেশমন্ত্রী স্টেফান ডি মিস্টুরা দুই মেরিনকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছনোর পরে দেশে ক্ষোভের মুখে পড়ে ইতালি সরকার। প্রথমে তারা সেনাদের দিল্লি না পাঠানোর বিষয়েই অনড় ছিল। রোমের দাবি, সেনাদের প্রাণদণ্ড না দেওয়ার বিষয়ে দিল্লির স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি পেয়েই দুই সেনাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ এমন কোনও প্রতিশ্রুতির কথা মানছেন না। এই পরিস্থিতিতে ইতালির বিদেশমন্ত্রীর পদত্যাগে বিতর্ক আরও বাড়ল।
|
ক্ষমাপ্রার্থী ফরাসি প্রেসিডেন্ট
সংবাদসংস্থা • প্যারিস |
ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর হাতে দুই ভারতীয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। এই মুহূর্তে ‘ব্রিকস্’-এর অধিবেশন উপলক্ষে ডারবানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। মঙ্গলবার তাঁরই উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে ওলাঁদ জানান, “সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা দুঃখিত। ঘটনার দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের সেনার হাতে আহত ছয় ভারতীয়ের সম্পূর্ণ চিকিৎসার ভারও নিচ্ছে ফ্রান্সের প্রশাসন।” গত সপ্তাহের ঘটনা। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাজধানী বাঙ্গুই দখল করে নেন এক বিদ্রোহী নেতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রাণপণ চেষ্টা চালায় ফ্রান্সের তরফে মোতায়েন করা ২৫০ জনের সেনাবাহিনী। তাঁদেরই ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় দুই ভারতীয়ের। জখম হন ছ’জন। প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়, বিদ্রোহী নেতার সমর্থক ভেবেই গুলি করা হয় ওই ভারতীয়দের। |